Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ড্রেনের দাবীতে রাস্তা সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিনোদপুরবাসী

॥রবিউল খন্দকার মজনু॥ রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুরে ড্রেনের দাবীতে পৌরসভার রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী।
গতকাল ২৫শে জুলাই সকালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সাংবাদিক সানাউল্লাহর বাড়ী হয়ে এতিমখানা পর্যন্ত রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করলে এলাকার লোকজন ড্রেনের বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। এ সময় তারা ইটের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন তাতে কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে এলাকার লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তার কাজের জন্য এনে রাখা ইট দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এলাকাবাসীর দাবী, আগে ড্রেন করে পরে রাস্তা করতে হবে। ড্রেন না করলে রাস্তা করতে দেওয়া হবে না। এলাকাবাসী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় যানবাহন চলতে না পারায় যাত্রী ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে এ দুরবস্থা অব্যাহত থাকলেও এলাকার কাউন্সিলর বা পৌরসভার কোন প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে যাননি।
বিনোদপুরের কুট্টি বেগম নামের ক্ষুদ্ধ একজন বাসিন্দা বলেন, আমাদের বিনোদপুর ৩নং ওয়ার্ডে কোন ড্রেন নেই। ড্রেন না থাকার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই বাড়ীতে পানি জমে যায়। রাস্তা দিয়েও হাটতে পারি না। পৌর মেয়র যেই হয় সেই ভুলে যায় যে বিনোদপুর নামে একটি এলাকা আছে। আমরা বিনোদপুরের মানুষ পৌরসভার নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। ভোটের সময় শুধু এসে বলে যে ড্রেন করে দিব। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পরে আর তাদের চেহারা দেখা যায় না। সে কারণেই আমরা এলাকার মহিলারা একজোট হয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। যতদিন ড্রেনের কাজ শুরু না হবে ততদিন কাজ বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুউদ্দিন আহম্মেদ সুজন বলেন, এই রাস্তার কাজের সাথে ড্রেনের এস্টিমেট ধরা নেই। তাই ঠিকাদার এখানে রাস্তার সাথে ড্রেন করতে পারবে না। অন্যান্য এলাকায় রাস্তার পাশ দিয়ে ড্রেন আছে। কিন্তু আমার ৩নং ওয়ার্ডে কোন ড্রেন নেই। ড্রেন না থাকায় তারা দুর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছে। আমরা যারা নির্বাচন করি তারা ভোট চাওয়ার সময় ড্রেন করে দেওয়ার কথা বলেই ভোট নেই। এই এলাকার মানুষ আসলেই খুব অবহেলিত। এখানে ড্রেনের বিশেষ প্রয়োজন। প্রতি বর্ষা মৌসুমেই এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পৌর মেয়র বর্তমানে ঢাকায় আছেন। তিনি রাজবাড়ীতে আসলে মেয়রকে নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।