Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বাড্ডায় পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হৃদয় ৫ দিনের রিমান্ডে

॥মাতৃকণ্ঠ ডেস্ক॥ রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় কথিত ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে পিটিয়ে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
আজ ২৪শে জুলাই হৃদয়কে আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক। এ সময় হৃদয়ের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না।
এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া অপর ৩ আসামি বাচ্চু মিয়া, শাহীন ও বাপ্পীকে ৪ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপর আসামি জাফর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ডিএমপি’র গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগের অবৈধ মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিম মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুলতা এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেফতার করে।
আজ ২৪শে জুলাই ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ আবদুল বাতেন বলেন, গ্রেফতারকৃত হৃদয় একজন সবজি বিক্রেতা। স্কুল গেটে তিনি সবজি বিক্রি করতেন। তিনি ওই এলাকায় থাকতেন। ঘটনার দিন হৃদয় তাসলিমা বেগম রেনুকে স্কুল গেট দিয়ে প্রবেশ করতে দেখেছিলেন। তাসলিমা তার সন্তানের ভর্তির ব্যপারে স্কুলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি একজন মহিলা অভিভাবককে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই অভিভাবকের বাসার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। এতে ওই মহিলা সন্দেহ করে তাসলিমাকে ছেলেধরা বলে। সবজি বিক্রেতা হৃদয় এ কথা শুনে এগিয়ে যায়। তার সাথে আরো ১৫ থেকে ২০ জন একত্রিত হয়। এ অবস্থা দেখে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় তাসলিমাকে তালাবদ্ধ করে রাখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের পাশেই ছিল বাজার। এ খবর পেয়ে আরো অনেক লোকজন স্কুলে প্রবেশ করে। এরপর হৃদয়সহ আরো লোকজন তালা ভেঙ্গে তাসলিমাকে বাইরে নিয়ে আসে এবং প্রহার করে হত্যা করে।
উলে¬খ্য, গত শনিবার সকালে উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে (৪০) পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।