Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

তীব্র স্রোত ও ফেরী সংকটে পারাপার ব্যাহত॥ দৌলতদিয়া ঘাটে ৬কিলোমিটার জুড়ে যানজট

॥এম. দেলোয়ার হোসেন॥ তীব্র স্রোত ও ফেরী সংকটে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নদী পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
এতে ঘাটে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল ১৮ই জুলাই বিকাল ৫টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৬কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকা ২/৩টি সারিতে সহস্রাধিক যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এসব যানবাহনের যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরীর মধ্যে বর্তমানে ১২টি ফেরী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ৩টি ফেরী মেরামতে রয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে যে কোন মুহূর্তে ৬টি ফেরী ঘাটের ৩টি ঘাট(১, ৪ ও ৬ নং) বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্বাভাবিক সময়ে ফেরী পারাপারে ৩০ মিনিনের মতো লাগলেও বর্তমানে কমপক্ষে দেড় ঘন্টা সময় লাগছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, দৌলতদিয়ার ৬নং ফেরী ঘাটের র‌্যাম্প পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিপদের আশংকা থাকা সত্ত্বেও ফেরীতে যানবাহন উঠা-নামা করছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যানবাহন উঠানামায় বেশী বিঘœ ঘটলে এবং ফেরী ভিড়তে সমস্যা হলে সাময়িকভাবে ঘাটটি বন্ধ হয়ে যায়। পাটুরিয়া ঘাট থেকে সকাল ১০টায় ছেড়ে আসা আমানত শাহ্ নামের বড় একটি ফেরী দৌলতদিয়ার ৬নং ফেরী ঘাট এলাকায় এসে স্রোতের মুখে আটকা পড়ে। একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় সেখানেই নোঙ্গর করতে হয় ফেরীটির। এতে ফেরীটিতে থাকা ১০টি যাত্রীবাহী বাসসহ প্রায় ১৫টি যানবাহন আটকা পড়ে।
দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীবাহী বাস ও পণ্য ভর্তি ট্রাকের চালকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘাটের দালাল চক্রের হাতে ২/৩ হাজার টাকা ধরিয়ে দিলেই আর সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। সরাসরি ফেরীর নাগাল পাওয়া যায়।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পরিবহন চালক বলেন, ‘ঘাটে অন্যদের ভোগান্তি হলেও ভিআইপি নামধারী এসি পরিবহনগুলোকে কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না।’
ফেরী বনলতা’র মাস্টার রেজাউল করিম জানান, ‘নদী পারাপারে ফেরীগুলোর সাধারণত আধা ঘন্টার মতো লাগে। কিন্তু পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে এখন দেড় থেকে দুউ ঘন্টা সময় লাগছে।’
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ্ জানান, বর্তমানে ১২টি ফেরী যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে। খানজাহান আলী, সন্ধ্যা মালতি ও শাপলা শালুক নামের ৩টি ফেরী মেরামতের জন্য পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় রয়েছে।