Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

জাতীয় হেল্পডেস্ক-৯৯৯ শীর্ষক প্রচারমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ জাতীয় পর্যায়ে সর্বস্তরের জণগণের জন্য মোবাইল ফোন ভিত্তিক হেল্পডেস্ক বাস্তবায়ন কর্মসূচীর আওতায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গত ১৯শে মার্চ বেলা সাড়ে ১২টায় জাতীয় হেল্পডেস্ক-৯৯৯ শীর্ষক প্রচারমূলক কর্মশালা কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জিনাত আরা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম ও সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স।
এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর উপ-পরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবায়েত মোঃ ফেরদৌস প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক কাজী ফারুক আহম্মেদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ্রী নিবাস দেবনাথ, জেলা মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মাজিনুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক রাজিব মিনা, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস শিকদার, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের উপ-পরিচালক ও জেলা কর্মকর্তাগণ, এনজিও প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালায়য়ের জাতীয় হেল্পডেস্ক-৯৯৯ শীর্ষক প্রচারমূলক কর্মশালার বিষয়ভিত্তিক মূল পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসটি) মানোয়ার হোসেন মোল্লা ও কর্মশালা সংশ্লিষ্ট তরুন উপস্থাপক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ আশরাফুর জামান।
কর্মশালার প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক জিনাত আরা তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল জাতীয় হেল্পডেস্ক-৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী জরুরী সেবা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে। যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল কার্যক্রমের একটি রোল মডেল। যে কোন কিছুর শুরুতে কার্যক্রমের পরিধি কিছুটা সীমিত থাকে। ভবিষ্যতে সরকার এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের জনগণের প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা জাতীয় হেল্পডেস্ক-৯৯৯ এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে। তবে এর জন্য ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে। আমি আশা করব সকলে যার যার জায়গা থেকে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাব। যাতে সাধারণ জনগণ সরকারের জাতীয় হেল্পডেস্ক-৯৯৯ এর মাধ্যমে সকল সুবিধা পেতে পারে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাধারণ জনগণ ন্যাশনাল ইমারজেন্সি সার্ভিসের ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে যে কোন মোবাইল থেকে দেশের যে কোন স্থান থেকে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সহায়তাসহ মারাত্মক রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা চাইতে পারেন। এর জন্য তাকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তার লোকেশন জানাতে হবে। শুধু ফোনের মাধ্যমে নয়, সোশ্যাল মিডিয়া বা ৯৯৯ বুস্ট ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ৯৯৯ এই হেল্পস্কের ওয়েব সাইটটি একটি সার্চ ইঞ্জিন হওয়ায় এর মাধ্যমে দেশের সকল সরকারী অফিসের তথ্য ও মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় ইনফরমেশন পাওয়া যাবে। জাতীয় হেল্পডেস্ক-৯৯৯ বর্তমান সরকারের ওয়ান নম্বর ন্যাশনাল ইমারজেন্সি সার্ভিস বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।