॥হেলাল মাহমুদ॥ আগামী ২৫শে জুলাই অনুষ্ঠিতব্য রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।
গত ৯ই জুলাই গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসে এই যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
যাচাই-বাছাইতে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডের একজন মহিলা সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর আগে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়কালে দুই ইউনিয়নের মোট ১০জন সদস্য প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
তাদের মধ্যে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী(২নং ওয়ার্ডের ১জন, ৩নং ওয়ার্ডের ১জন, ৪নং ওয়ার্ডের ১জন, ৫নং ওয়ার্ডের ৪জন) ও ১জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী (সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের) এবং দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ১জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী (৮নং ওয়ার্ডের) ও ১জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী (সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের) তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মোট ৮৫জন ‘বৈধ প্রার্থী’র নাম ঘোষণা করা হয়।
তাদের মধ্যে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী(সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরুল ইসলাম মন্ডল এবং বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হওয়া একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান মন্ডল, ৯টি ওয়ার্ডের ২৭জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী ও ১৪জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী।
দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী(সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম এবং একই দলের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আতর আলী সরদার ও আঃ মান্নান মোল্লা), ২৯ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী ও ১০ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী বৈধ বলে ঘোষিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, নদী ভাঙ্গনজনিত কারণে নির্ধারিত ৫বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরো প্রায় ৩বছর ধরে এই ২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ছিল। নদীগর্ভে বিলীন হওয়া এলাকাগুলোর সাথে সমন্বয় করে ওয়ার্ডের সীমানা পুনঃ নির্ধারণের পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।