Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দৌলতদিয়ায় দীর্ঘ যানজট যাত্রীদের চরম ভোগান্তি॥ফেরী সংকট ও তীব্র স্রোতে পারাপার ব্যাহত

॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ ফেরী সংকট ও তীব্র স্রোতের কারণে নদী পারাপার ব্যাহত হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ২০টি ফেরীর মধ্যে ৪টি ফেরী মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে রয়েছে। অপর ফেরীগুলোতেও মাঝে-মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেগুলোকে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় নিতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি তীব্র ¯্রােত ও চ্যানেল পরিবর্তনের কারণে নদী পারাপারে সময় বেশী লাগছে। ফলে ফেরীর ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। যার জন্য এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রী ও যানবাহন চালকদের দুর্ভোগ সহ্য করে ফেরী পারাপারের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
গতকাল ১লা জুলাই দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের যানবাহন সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ফেরী পারাপারের সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।
যানজটে আটকে থাকা মাগুরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা জে.আর পরিবহনের যাত্রী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত ২৮শে জুন মাগুরা থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় দৌলতদিয়া ঘাটে এসে সাড়ে ৪ঘন্টা অপেক্ষা করে ফেরীতে উঠতে পেরেছিলাম। আজ আবার সেই অবস্থার মধ্যে পড়েছি। ফেরীর সংখ্যা বৃদ্ধি না করলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে না।
হেলাল উদ্দিন নামের একজন ট্রাক চালক বলেন, ফেরী স্বল্পতার জন্য কর্তৃপক্ষ যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকে বেশী গুরুত্ব দেয়। তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করে। ফলে আমাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। এই সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ফেরীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হোক।
ঢাকা ফেরীর চালক এরশাদ মিজি বলেন, তীব্র ¯্রােত ও চ্যানেল পরিবর্তনের কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় বেশী লাগছে। এ কারণে ফেরীর ট্রিপের সংখ্যা কমে গেছে।
দৌলতদিয়া ঘাটে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মল্লিক তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, গত ১০ দিন ধরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ২০টি ফেরীর মধ্যে ৩টি বড় ও ১টি মাঝারী ফেরীর তলদেশে সমস্যার কারণে সেগুলোকে মেরামতের জন্য নারায়ণঞ্জের ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মাঝে-মধ্যে দু’একটি ফেরীতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় সেগুলোকে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় নিতে হচ্ছে। এ কারণে ফেরীর সংকট দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি তীব্র ¯্রােত ও চ্যানেল পরিবর্তনের কারণে নদী পারাপারে সময় বেশী লাগায় ফেরীর ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। গাড়ীর চাপ অব্যাহত থাকলে সহসাই এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।