Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীতে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী পালিত॥ জেলা প্রশাসককে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান

॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে গতকাল ২০শে জুন সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’ উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী।
অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) আলমগীর হুছাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহ্রাব, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার পাল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এম. দেলোয়ার হোসেন ও এডঃ শফিকুল আজম মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এদেশের মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন। তারা বাঙালী জাতিকে এদেশের জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন, যা কখনোই ভোলার নয়। বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত রাখতে রবীন্দ্র ও নজরুল চর্চা খুবই জরুরী। সকলকে তাদের বইগুলো পড়তে হবে।
আলোচনা পর্বের শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি ও বদলী উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা প্রদানকালে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকালে তিনি সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। বিশেষ করে নদী ভাঙ্গন ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও কর্মজীবনের সাফল্য কামনা করছি এবং আশা করছি তিনি যেখানেই থাকুন না কেন রাজবাড়ী জেলার জন্য কোন কিছু করার সুযোগ হলে অবশ্যই তিনি তা করবেন।
সংবর্ধিত বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, দায়িত্ব পালনকালে আমি রাজবাড়ীবাসীর জন্য আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে কাজ করেছি। সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, সুধীজনসহ সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। আমি যেখানেই থাকি না কেন সারা জীবন রাজবাড়ী জেলার কথা, জেলার মানুষের কথা মনে রাখবো। রাজবাড়ীর মানুষের জন্য সবসময় আমার শুভকামনা থাকবে।
বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, সুধীজন, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া ও উপহার সামগ্রী দিয়ে জেলা প্রশাসককে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়।