Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে মিতুল হাকিমকে সংবর্ধনা প্রদান

॥মোখলেছুর রহমান॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল ১০ই মার্চ বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমের পুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে রায়নগর আলিম মাদ্রাসার মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিম বক্তব্য রাখেন।
কালিকাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনু। কালিকাপুর ইউপির চেয়ারম্যান আতিউর রহমান নবাব, রতনদিয়া ইউপির চেয়ারম্যোন মেহেদী হাচিনা পারভীন নিলুফা, সাপ্তাহিক ¯্রােত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জুলফিকার আলী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, রায়নগর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফর রহমান, মৃগী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম লাবলু, পাংশা পৌর যুবলীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, কালুখালী উপজেলা যুবলীগের নেতা ইমরুল কায়েস সবুজ এবং কালিকাপুর ইউপির সদস্য গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন কালিকাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ সিদ্দিকী বাচ্চু। এ সময় কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম ফকিরসহ কালুখালী ও পাংশা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল বলেন, বিগত নির্বাচন সংবিধান মেনেই হয়েছে। আগামী নির্বাচনও সংবিধান মেনেই হবে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন তার অধীনেই নির্বাচন হবে-পারলে বিএনপি যেন ঠেকায়। নির্বাচন কিভাবে করতে তা আওয়ামী লীগের জানা আছে। কারণ আওয়ামী লীগের উপর অনেক নির্যাতন করা হয়েছে, বাড়ী থেকে বের করেও দেওয়া হয়েছে। এ থেকে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে শিখেছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে ঠেকাতে পারে নাই। আর কোনদিনও পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগের অবস্থা বর্তমানে অনেক শক্তিশালী এবং শেকড় অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার জন্য একটি কুচক্রী মহল কাজ করছে। তাদের থেকে সাবধানে থাকবেন। আমার পিতা আপনাদের কাছের মানুষ। উন্নয়নের জন্য তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পিতা সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমের জন্য সবার দোয়া কামনা করেন।
বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মজনু তার বক্তব্যে সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম ও মিতুল হাকিমের জীবনের নানা কষ্টের দিক তুলে ধরে বলেন, তারা সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকতে চান। আজকের এই গণজোয়ার আগামী নির্বাচনে মোঃ জিল্লুল হাকিমকে আবার এমপি হিসেবে দেখার কথাই প্রমাণ করে। তিনি জিল্লল হাকিম এবং তার সুযোগ্য পুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের জন্য উপস্থিত সবার কাছে দোয়া চান।
কালিকাপুর ইউপির চেয়ারম্যান আতিউর রহমান নবাব বলেন, আমি নির্বাচিত হবার পর সবচেয়ে বেশী কাজ করেছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বিএনপির সরকারের আমলে আমার উপর যে নির্যাতন করা হয়েছিল তা কখনো ভুলবো না। বিএনপির আমাদের মারধর করেছিল। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি সাথে তা করিনি। তিনি আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনে আবারও কালিকাপুর ইউপিতে নৌকা প্রতীকে সবচেয়ে বেশী ভোট দিয়ে জিল্লুল হাকিমকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।