Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের পারাপার নির্বিঘ্নে করতে প্রস্তুত দৌলতদিয়া ঘাট

॥শিহাবুর রহমান॥ দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চেলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ছোট-বড় যানবাহন পারাপার হয়। ঈদের সময় এর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
আর এ সময় যানজটসহ বিভিন্ন দুর্ভোগে পড়তে হয় এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। তাই আসন্ন ঈদে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে অতিরিক্ত ফেরী চালু ও নিরাপত্তা জোরদারসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিআইডাব্লুউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ বা নদীতে কোন সমস্যা না হলে এবং ঘাট যদি ভাল থাকে তাহলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ সুন্দরভাবে তাদের গন্তব্যে পৌছাতে পারবে। স্বাভাবিক সময়ে ১৪/১৫টি ফেরী চলাচল করলেও ঈদকে ঘিরে যাহবাহনের বাড়তি চাপ সামলাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরী চালু রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেই সাথে যাত্রাপথে কোনো ফেরী বিকল হলে তৎক্ষনাত তা মেরামতের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভাসমান মেরামত কারখানা।
বিআইডাব্লুউটিএ’র সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ ফরিদুল ইসলাম জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে ৬টি ফেরী ঘাট মেরামত করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ২২টি লঞ্চ চলাচল করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের ফেরী ঘাটগুলো যাতে ভাল থাকে সেজন্য ২৪ঘন্টা লেবাররা কাজ করছে।
রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসাইন জানান, আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া ঘাটে যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষনিকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে, মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে। পুলিশ বিভাগ থেকে পুলিশ সদস্যরা তৎপর থাকবে এবং সেখানে ভটভটি, নছিমন এবং ব্যক্তি চালিত যেসব যন্ত্র পরিবেশ নষ্ট করে, জ্যাম তৈরী করে সেগুলো যাতে মেইন রোড়ে না আসতে পারে সেজন্য আমার প্রস্তুতি নিয়েছি। এছাড়াও সেখানে যাতে দুষ্টচক্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য আমরা বদ্ধ পরিকর। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ফোর্স সার্বক্ষনিক সেখানে থাকবে। আশা করি অত্যন্ত সুন্দরভাবেই আমরা ঘরমুখো মানুষকে পাড়াপাড় করতে পারবে।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি,বিপিএম,পিপিএম-সেবা জানান, ঈদের আগে ও পরে আমরা দৌলতদিয়া ঘাটে ১০দিনের একটা প্রোগ্রাম দিয়েছি। সেখানে ফোর্স অফিসারসহ ২৫০জনের মতো পুলিশ মোতায়ন থাকবে। এরা মূলত ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকবে। এছাড়াও ঘাটের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় আলাদাভাবে থানা কাজ করবে। এর পাশাপাশি সাদা পোষাকে ডিবিও কাজ করবে। বসানো হবে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। সড়কপথ ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট ছাড়াও যাত্রীদের নিরাপত্তায় নদীপথে টহল দিবেন নৌ পুলিশের সদস্যরা।