॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদের বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এসএমটি জামান নিকেতাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আগামী ২৪শে জুন এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়াও সভায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড ১৬টি উপজেলার চেয়ারম্যান পদেও দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে।
গতকাল ১৯শে মে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এসএমটি জামান নিকেতাকে এবং ৫ম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৬টি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দলীয় প্রার্থীর চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। আগামী ১৮ই জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন পাওয়ায় দলের প্রতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কালুখালী উপজেলার প্রথম নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন সারা দেশের মধ্যে তিনি কালুখালী উপজেলাকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা হিসেবে গড়তে চান।
২০১০ সালে ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে কালুখালী উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। নতুন উপজেলা হওয়ায় বিভিন্ন অফিস-আদালত নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শান্তি-নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সকল কার্যাবলী সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমের সহযোগিতায় সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও নারীর কর্মসংস্থানসহ বেকারত্ব দূরীকরণে সরকারীভাবে বিভিন্ন ট্রেনিং প্রদান করেছেন।
তিনি বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে কালুখালী উপজেলাতে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করেছেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই শতভাগ বিদ্যুতের ঘোষণা দিয়েছেন। কাজী সাইফুল ইসলাম কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ীতে ১টি উচ্চ বিদ্যালয় ও কালুখালী শহরের প্রাণকেন্দ্রে কালুখালী মহিলা কলেজ স্থাপন করেছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তা পাকাকরণের কাজ করে চলেছেন। অনেক রাস্তার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে এবং কাজ শুরুর অপেক্ষায় আছে। তিনি উপজেলাকে একটি আধুনিক মানের উপজেলা হিসেবে গড়ার জন্য কাজ করে চলেছেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কাজী সাইফুল ইসলামের পিতা কাজী নুরুল ইসলাম মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বড় হয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য এবং কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বৃহত্তর পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সাল হতে প্রত্যেকটি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ জিল্লুল হাকিমের পক্ষে জোরালোভাবে কাজ করেছেন। ২০০১ সালের পর ৪দলীয় জোট সরকার কর্তৃক হামলা-মামলা, জেল-জুলুমের শিকার হওয়া নির্যাতিত দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে দলকে তৃণমূলে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। ২০০৩ ও ২০১১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২ দফায় বিপুল ভোটে মাঝবাড়ী ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মাঝবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নসহ এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
২০১৪ সালে কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ১৫/৬/২০১৪ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণের পর একইভাবে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং সরকার ঘোষিত সকল কর্মসূচী যথাযথভাবে পালন করে চলেছেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আস্থাভাজন নেতা রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমের পরামর্শে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
তিনি কালুখালী উপজেলা শহরে প্রবেশের চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য নির্মাণ করে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার’ গড়ে তুলেছেন। দলীয় সকল কর্মসূচীতে ব্যাপক ভূমিকা রাখাসহ বিভিন্ন দল থেকে অনেক নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়ে এলাকায় আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন। নিজ দল ছাড়াও বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষের কাছে তিনি একজন প্রিয় মানুষ হিসেবে সুপরিচিত লাভ করেছেন।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করি। সাধারণ জনগণের জন্য রাজনীতি করি। দলের প্রতি আস্থা রেখে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা ৩য় মেয়াদে সরকার গঠন করে গ্রামকে শহরে রূপান্তরের যে মহাপরিকল্পনা করেছেন তার দলের কর্মী হিসেবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে চাই।