Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কালুখালীর বোয়ালিয়ায় আ’লীগ নেতাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষ

॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে আবুল হাশেম মোল্লা (৪৫)কে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষ।
গত ১৪ই মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন কালুখালী উপজেলাধীন মাঝবাড়ী ইউনিয়নের মোহনপুর বাজারের শেখ ফিলিং স্টেশনে মোটর সাইকেলে তেল ভরার সময় তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাশেম মোল্লা জানান, তিনি কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলামের সাথে রাজনীতি করেন। এ কারণে সাইফুল বিরোধী হিসেবে পরিচিত দলীয় কিছু নেতাকর্মী তার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল। গত ১৪ই মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মোহনপুর বাজারের শেখ ফিলিং স্টেশনে মোটর সাইকেলে তেল ভরছিলেন। এ সময় মোহনপুর গ্রামের ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী বাটাম, রড ও হাতুড়ি নিয়ে উপর হামলা চালায়। তিনি এর কারণ জানতে চাইলে তারা প্রকাশ করে, দাঁড়া ইউসুফ মেম্বারের (মাঝবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার) সাথে কথা বলে নেই। এরপর তারা মোবাইলে ইউসুফ মেম্বারের সাথে কথা বলে প্রকাশ করে, ‘শালা তুই পুরনো আওয়ামী লীগ-সাইফুল চেয়ারম্যানের সাথে রাজনীতি করিস।’ এ কথা বলেই তারা বাটাম, রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তার দুই পা ও ডান হাত ভেঙ্গে দেয়ার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে তেলের পাম্পের উঁচু জায়গা থেকে পাশের নিচু স্থানে ফেলে দেয়। এ সময় তারা হুমকি দিয়ে আরও বলে, ‘শালা সাইফুল চেয়ারম্যানের সাথে আওয়ামী লীগ করতে পারবি না। তাহলে পরে তাকে জানে মেরে ফেলব।’ পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ ঘটনায় কালুখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আবুল হাশের মোল্লার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাঃ তারেক জানান, ‘তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রথমে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সেখান থেকেই তার হাতে-পায়ে ব্যান্ডেজ ও সেলাই করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। চিকিৎসা ও আইনী পদক্ষেপের বিষয়ে আবুল হাশেম মোল্লাকে সহযোগিতা করা হবে।’