॥বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলায় বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোদ্দ মেগচামী গ্রামে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক প্রভাষক আব্দুল আলীম খান।
তার বাগানের ৭ একর জমিতে তিনি ৩০টি জাতের ২৫০টি আম গাছের বাগান করেছেন। গাছের আমগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। এখন তিনি আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর তিনি আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
প্রভাষক আব্দুল আলীম খান জানান, তাদের ২০ একর জমির বাগানের মধ্যে ৭ একর জমির আমের বাগানে আম্রপালী, হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংরা, ক্ষীরসাপাতি, নবাব পছন্দ, বিশ্বনাথসহ প্রায় ৩০টি জাতের ২৫০টি গাছে এ বছর ভালো মুকুল এসেছিল। মুকুল থেকে গুটি হয়ে বর্তমান আমগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে আমি আশা করছি। তবে এ বছরে জৈব সার ও ওষুধসহ পরিচর্যায় একটু বেশী খরচ হয়েছে। এই বাগানের বিভিন্ন জাতের আম আমরা বালিয়াকান্দি বাজারসহ রাজবাড়ী-ফরিদপুরের পাইকারী ব্যাপারীদের নিকট বিক্রি করে থাকি। এছাড়াও আমরা নিজেরা খাই, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ীতে পাঠাই। বালিয়াকান্দি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে আমরাই সবচেয়ে বেশী আমের চাষ করেছি, কিন্তু সরকারীভাবে এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পাই নাই। কোন কৃষি কর্মকর্তা আমাদের বাগানের কোন খোঁজ-খবর বা কোন পরামর্শ দেয়নি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে আম চাষে আরো বেশী লাভবান হতাম।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ বছর বালিয়াকান্দি উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে আম ধরেছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে আম চাষীরা লাভবান হতে পারবে। খোদ্দমেগচামী গ্রামের খান বাড়ীর আম বাগানে খোঁজ-খবর নেয়া পরামর্শ দিয়ে থাকি। এ বছর তাদের বাগানে আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বালিয়াকান্দির খোদ্দ মেগচামীর বাগানে আমের বাম্পার ফলন
