॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর একটি স্কুলে গত মঙ্গলবার সহপাঠিদের বন্দুক হামলায় এক কিশোর শিক্ষার্থী নিহত ও আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। দেশটির সমকালীন ইতিহাসে এই শহরটি ভয়াবহ বন্দুক হামলার জন্য পরিচিত।
ডগলাস কাউন্টির শেরিফের অফিস টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি যে এসটিইম স্কুলের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।’ ওই শিক্ষার্থীর বয়স ১৮বছর। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এর আগে শেরিফ টনি স্পারলক বলেন, এই ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মোট ৮জন আহত হয়েছে। কয়েকজনকে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় কোন স্টাফ বা শিক্ষক আহত হয়নি বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী শিক্ষার্থীর বয়স ১৫বছর।
এই ঘটনায় দু’জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। এদের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ও অপরজন তরুণ। তারা দু’জনেই এই স্কুলের ছাত্র। এই সন্দেহভাজনদের ব্যপারে আর কিছু জানানো হয়নি।
শেরিফ আরো বলেন, এই দুই ব্যক্তি ‘পায়ে হেঁটে এসটিইএম স্কুলে পৌঁছে স্কুলের দুটি পৃথক স্থানে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।’
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
স্পুরলক বলেন, হামলার প্রায় সাথে সাথেই স্কুল থেকে পুলিশে খবর দেয়া হয়। দুই মিনিটের মধ্যেই আমার ডেপুটিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
শেরিফ আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে কর্মকর্তারা দ্রুত স্কুলে পৌঁছানোর কারণেই আরো অনেক জীবন রক্ষা পেয়েছে।’
দ্য এসটিইএম স্কুল হাউল্যান্ডস র্যাঞ্চ একটি কিন্ডারগার্টেন। এখানে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যায়নের সুযোগ রয়েছে। এটি কলোরাডোর মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। এই স্কুলে প্রায় ১হাজার ৮শ’ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে।
হামলার পর কয়েকঘন্টা স্কুল বন্ধ ছিল। বিকেল তিনটের দিকে ক্লাস ফের শুরু হয়। ঘটনার পর কয়েকটি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।