॥চঞ্চল সরদার॥ মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে গত ১লা মে বেলা ১১টায় রেলওয়ে আজাদী ময়দানে শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহজাহান সান্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে সংগঠনের আইন উপদেষ্টা ও জেলা বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক এডঃ কাজী আব্দুল বারী কুটিন, সংগঠনের তথ্য উপদেষ্টা ও রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক, অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লালন শেখ, সহ-সাধারণ সম্পাদক নিফাজ আহমেদ, আলহাজ সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমান মোল্লা, কোষাধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ এলেম, প্রচার সম্পাদক সেলিম শেখ, দপ্তর সম্পাদক কামাল শেখ, ধর্মীয় সম্পাদক শামিম মোল্লা, ক্রীড়া সম্পাদক জনি মৃধা, কার্যকারী সদস্য আবুল কাশেম, মজিদ মল্লিক, ইয়াকুব মৃধা, আব্দুল আলিম, সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আজিজ মন্ডল, সাবেক সদস্য সচিব আবজাল হোসেন, সদস্য হাজী মোঃ মাজেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অরূপ দত্ত হলি, জেলা কৃষক লীগের সদস্য রাজু আহম্মেদ ও কাদের মুন্সিসহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, মহান মে দিবস শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দিবস। ১৯৭১ সালে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ ও অবহেলিত শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করেছেন। তার স্বপ্ন ছিল এদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার। কিন্তু সেটা তিনি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জেলখানার মধ্যে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। আজকে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশে^র দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানোর জন্য জীবন বাজী রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। তাকেও হত্যা করার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। সেদিন আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়। বিএনপি-জামাত দেশে জঙ্গীবাদের সৃষ্টি করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি জঙ্গীবাদ দমন না করতেন তাহলে এদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হতো। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যাতে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ পেট ভরে খেতে পারে। এদেশের মেহনতি মানুষ যাতে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, তাদের সন্তানরা যাতে সুশিক্ষায় শিক্ষত হতে পারে। এদেশের মেহনতি মানুষ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সেই ব্যবস্থা কে করেছে, আমাদের প্রাণপ্রিয় শেখ হাসিনা করেছেন। উনি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এদেশের উন্নয়নে শ্রমিকদের অবদান খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই। কোন শ্রমিকের সন্তান যদি টাকার জন্য লেখাপড়া করতে না পারে তাহলে আমার কাছে আসবেন, আমি ব্যবস্থা করে দিব। বিনা চিকিৎসায় আর কোন শ্রমিক মারা যাবে না। নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসের জায়গা আমি দেখেছি। সেখানে রাস্তার পাশে এই ২০১৯ সালের মধ্যেই শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস নির্মাণের কাজ শুরু করবো।
আলোচনা সভার শেষে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৫জন শ্রমিকের পরিবারকে ১০হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়। এর আগে, সকাল ৮টায় জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ মাহফিলের শেষে জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
রাজবাড়ী জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভা
