Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীতে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

॥রফিকুল ইসলাম॥ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গত ২৬শে মার্চ দুপুরে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম, পিপিএম-সেবা, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আমজাদ হোসেন মন্টু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল, অন্যান্যের মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নওয়াব আলী, মহসিন উদ্দিন বতু, আহমেদ নিজাম মন্টু, সিরাজ আহমেদ, আবুল হাসেম বাকাউল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনাই সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেয়া চালু করেন। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে এখন মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়া হচ্ছে। আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। কোন চাওয়া-পাওয়ার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির বিবেক-দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। অনেক ষড়যন্ত্র আছে, সেগুলোকে রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশী সম্মান দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানো হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম, পিপিএম-সেবা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই সর্বপ্রথম প্রতিরোধ করেছে। জীবন দিয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন তাদেরকে আমরা সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা করি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস, ডাঃ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা শামীমা আক্তার মুনমুন এবং শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা চায়না সাহা।