ডাঃ দেবী শেঠি- পুরো নাম দেভি প্রসাদ শেঠি হৃদরোগের চিকিৎসায় গোটাবিশ্ব যাকে এক নামে চিনে! সম্প্রতি আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে তিনি বাংলাদেশে আসেন।
এসময় তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ওবায়দুল কাদের্কে দ্রুত সিঙ্গাপুরে পাঠাতে বলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছেন ডাঃ দেভি শেঠি। অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত রোগিদের কিভাবে ডাঃ দেভি শেঠিকে দেখানো যায় তার উপায় খুজছেন। ব্যাঙ্গলোরের নারায়ণা হাসপাতালে প্রায় ৬০% বাংলাদেশি হার্টের রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে যান।মনে রাখা দরকার যে, ডা. দেভি শেঠি সরাসরি কোন রোগী দেখেন না। নারায়না হাসপাতালের বেসমেন্টে উনার সিরিয়াল নেয়ার জন্য আলাদা কাউন্টার আছে। সকাল ৮টার মধ্যে গেলে কাউন্টারে একটা ফর্ম পুরন করতে হয়, যা আন্তর্জাতিক /নতুন রোগীর জন্য। ৮০০ রুপি জমা দিয়ে ফাইল করতে হয়। এই ফাইলটি নিয়ে পাশে আরেকটি কাউন্টারে গেলে , তারা ফাইলটি চেক করে কিছু টেস্ট করতে বলবে (যদি লাগে) এবং একজন কার্ডিওলোজিস্ট এর কাছে রেফার করবে। ওই কার্ডিওলোজিস্ট যদি মনে করেন ডা. দেভি শেঠির কাছে পাঠানো প্রয়োজন আছে তবে তিনি রেফার করে দিবেন। আর সাধারণ সমস্যা হলে সেখান থেকেই সাজেশন দিয়ে দিবেন আর ডা. দেভি শেঠির কাছে পাঠাবেন না। মূলত ডা. দেভি শেঠি জটিল ও শিশুদের হার্টের রোগিদের দেখেন। সব ঠিক থাকলেও উনাকে পেতে ১-৭ দিন লাগতে পারে। অনেক সময় জটিল অপারেশনে উনি বাইরের (OPD) রোগী দেখেন না।
সময় নিয়ে যেতে হবে, আপনার রোগী যতই জটিল অবস্থায় থাক না কেন। উনার কয়েকজন সেক্রেটারির মধ্যে দিপক হেল্পফুল কিন্তু উনি বাংলা জানেন না। মিসেস তানিয়া বাংলা জানেন কিন্তু খুব একটা হেল্প করেন না। ডা. দেভি শেঠি অনেক সময় দেশের বাইরে থাকেন, সেক্ষেত্রে খবর নিয়ে যাওয়া ভালো।
সবচেয়ে ভালো হয় সরাসরি ডা. দেভি শেঠিকে হোয়াট’স এপ করলে। উনি নিজেই তার রিপ্লাই দেন। তার হোয়াটস এপ নাম্বার +919980199801. শুধু text, কোনো কল করা যাবে না।
ইমেইল করতে পারেনঃ devishetty@narayanahealth.org
কিছু টেস্ট বাংলাদেশের ভালো হস্পিটাল বা ডায়াগনস্টিক থেকে করিয়ে নিলে আর ওখানে করতে হয় না।
যেমনঃ
1. সিবিসি(CBC)
2. আরবিএস
3. ইসিজি
4. লিপিড প্রফাইল
5. গ্লুকোজ টেস্ট
6. এক্স-রে-চেস্ট
7. ইকো কালার ড্রপ্লার
8. এনজিওগ্রাম(যদি লাগে)
কিছু প্রেপারেশনঃ
১। রোগীকে যদি এঞ্জিওগ্রাম, রিং বা অপারেশন করতে হয় তাহলে অবশ্যই মেডিক্যাল ভিসা লাগবে। তা না হলে বিপদে পড়ে যাবেন । পাসপোর্ট ও ভিসার বেশ কয়েক কপি ফটোকপি সাথে রাখতে হবে, কথায় কথায় এগুলো দরকার হয়।
২। উপরের ক্ষেত্রে অবশ্যইে ইউএস ডলারে তে পেমেন্ট করতে হবে। তাই দেশ থেকে ডলার নিয়ে যাওয়া ভালো। ওখানে রেট ভালো না। এঞ্জিওগ্রামে ৩০০ ডলার, রিং বা অপারেশন ৪০০০ ডলার জমা রাখে। পরে যা লাগবে তা রেখে বাকি টাকা ফেরত দেয়।
৩। টাকা জমা দিতে হলে আন্তর্জাতিক ডেস্ক এর ভেরিফিকেশন লাগে। তাই পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপির সাথে যে হোটেলে উঠেছেন তার বিল কপি লাগবে। আন্তর্জাতিক ডেস্কএ মিস রূপসী নামে একজন কলকাতার বাংগালী আছেন উনি গাইড করেন।
৪। নরমাল টেস্ট এর জন্য টুরিস্ট ভিসা ওকে।