Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বালিয়াকান্দির উপজেলার প্রায় প্রতিটি আম গাছ মুকুলে মুকুলে ভরে উঠেছে

॥বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় প্রতিটি আম গাছ মুকুলে মুকুলে ভরে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আম গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এসেছে।
আমকে ফলের রাজা বলা হয়। রসালো ফল আম থেকে আমরা পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকি। বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে ছোট-বড় অনেক আমের বাগান। মুকুল আসার পূর্বে আমের বাগানগুলোতে বাড়তি যতœ নেয়া হয়।
ইসলামপুর ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের একজন আম বাগানের মালিক নুরুল ইসলাম জানান, তার ১ বিঘার কিছুটা বেশী জমিতে আম বাগান রয়েছে। বাগানে হিমসাগর, আ¤্রপালি, গোপালভোগসহ শতাধিক আম গাছ আছে। এবার প্রতিটি আম গাছেই প্রচুর পরিমাণে মুকুল এসেছে। আমের মুকুল আসার পূর্বে তিনি ছত্রাক জাতীয় ওষুধ এবং পরে মুকুল বৃদ্ধির জন্য হরমোন জাতীয় ওষুধ ¯েপ্র করে থাকেন।
আম ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন, রেজাউল ইসলাম, আবুল হোসেন মন্ডল জানান, আমের বাগান কিনতে মালিকপক্ষকে অগ্রীম টাকা দিতে হয়। তারপর আম যখন পাকা শুরু করে তখন বাকী টাকা পরিশোধ করে গাছ থেকে আম পাড়তে হয়। বালিয়াকান্দি উপজেলায় ল্যাংড়া, ফজলী, আ¤্রপালি, রুপালী, মল্লিকা, লতা, হিমসাগর ইত্যাদি জাতের আম চাষ বেশী হয়ে থাকে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী আব্দুর রব ও মোছাঃ মাসুমা আক্তার জানান, এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। তারা আম চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করে থাকেন। কেউ তাদের কাছে কোন সমস্যা নিয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সেই সমস্যা সমাধানের পরামর্শ প্রদান করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাখায়াত হোসেন বলেন, এ বছর উপজেলার প্রতিটি এলাকার আম গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এসেছে। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে আমরা এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছি। আমাদের ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে তৎপর রয়েছেন। তাদেরকে গ্রামে গ্রামে গিয়ে আম চাষীদেরকে সেবা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।