Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ আগামী ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২৫শে ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোঃ ফেরদৌস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফজলুল হক, জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে.বি.এম সাদ্দাম হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নূরে সফুরা ফেরদৌস, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও এনজিও প্রতিনিধিগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঠিক নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীর বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। সেজন্য আজকে আমরা বিশ্বের বুকে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি। সুতরাং আগামী ১৭ই মার্চ সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীতে বাংলাদেশ সৃষ্টির মহানায়ক আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করা হবে। যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন, কিভাবে তিনি আমাদের জাতির পিতা হলেন, তার জীবন কেমন ছিল, তিনি কিভাবে বঙ্গবন্ধু ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হলেন, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের আগে থেকে স্বাধীনতা অর্জন ও পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তার শহীদ হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষকে তিনি কিভাবে ভালোবেসেছেন, কিভাবে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানী দালাল রজাকার আলবদর চক্রের গভীর ষড়যন্ত্রে এদেশের কিছু কুলাঙ্গারের হাতে কিভাবে তিনি শহীদ হলেন, বর্তমানে তার কন্যা কিভাবে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দেশের উন্নয়ন করছেন সেসব সম্পর্কে জানাতে হবে। যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশের কল্যাণে আরো দেশাত্মবোধ নিয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। সুতরাং আমাদের সকলকে জাতির জনকের জন্মদিনে এই মূল্যবোধ ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে আগামী ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচীর সাথে সঙ্গতি রেখে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত জাতির জনকের ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আ¤্রকানন চত্বরে আলোচনা সভা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরষ্কার বিতরণ, শ্রীপুর অ্যাক্রোবেটিক সেন্টারে অ্যাক্রোবেট প্রদর্শনী, দুপুরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্য ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা ইত্যাদি কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।