॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ১৭ই ফেব্রুয়ারী সকালে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি আখতার হোসেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম শেখ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে.বি.এম সাদ্দাম হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী মিল্লাত, ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুর রহমান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ কামরুল ইসলাম গোলদার, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোঃ আজম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মজিনুর রহমান ও জেলা তথ্য অফিসার মনিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী। তিনি বলেন, রাজবাড়ী একটি কৃষিপ্রধান জেলা। এই জেলার গুরুত্ব রয়েছে। রাজবাড়ীর বিভিন্ন পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করা হয়। কিন্তু এ জেলার কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঢাকায় যে পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৩০ টাকা, রাজবাড়ীতে সেই পণ্যের দাম ৫ টাকা মাত্র। এ ব্যাপারে জেলা বাজার অনুসন্ধানকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আফজাল হোসেন বলেন, তিনি ছুটিতে রয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক সভায় বসেই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসানকে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ মন্ত্রীপরিষদ সচিব বরাবর পত্র দিয়ে বলেন। সভায় কাস্টমসের কোন কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায়ও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং একই নির্দেশ দেন। গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মীরা ৫ মাস বেতন না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনিও সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস সূত্রে সভাকে জানানো হয়, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। অচিরেই বিষয়টির সমাধান হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স বলেন, উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩জন করে ডাক্তারের পদ সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। সেই সাথে ২বছরের ইন্টার্নী শীপের ১বছর উপজেলা পর্যায়ে কাটানোর বাধ্যবাধকতা করা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে বলেন, দীঘ পথ পরিক্রমায় আপনার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি। চলার পথে ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।