॥স্টাফ রিপোর্টার॥ দেশের দশটি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে আজ ২রা ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট(এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ২৬শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
এছাড়াও সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ২৭শে ফেব্রুয়ারী থেকে ৫ই মার্চ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ২৮শে ফেব্রুয়ারী থেকে ৬ই মার্চ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ২৪শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর রাজবাড়ী জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ১৬ হাজার ৮০৬ জন। এরমধ্যে ১৩ হাজার ৪১৮ জন এসএসসি, ২ হাজার ১৬৮ জন দাখিল, ১ হাজার ১৭৩ জন এসএসসি ভোকেশনাল এবং ৪৭জন দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ৯টি কেন্দ্রে (রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়/রাজবাড়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়/অংকুর স্কুল এন্ড কলেজ/ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়, খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী ইনস্টিটিউট/তমিজ উদ্দিন খান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালুখালী উপজেলার কালুখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়/রতনদিয়া রজনীকান্ত সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মৃগী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়/শহীদ দিয়ানত ডিগ্রী কলেজ, বালিয়াকান্দি উপজেলার বালিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়/বালিয়াকান্দি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়/বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাংশা উপজেলার জর্জ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়/পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাছপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়/মাছপাড়া কলেজ/মাছপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোয়ালন্দ উপজেলার নাজিরউদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়/শহীদ স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়) এসএসসি, ৬টি কেন্দ্রে (রাজবাড়ী সদর উপজেলার শ্রীপুর লজ্জাতুন্নেছা কামিল মাদ্রাসা, গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ উজানচর আলিয়া মাদ্রাসা, কালুখালী উপজেলার হোগলাডাঙ্গী এম.আই কামিল মাদ্রাসা, বালিয়াকান্দি উপজেলার বালিয়াকান্দি দাখিল মাদ্রাসা, পাংশা উপজেলার শাহজুঁই কামিল মাদ্রাসা, পাংশা সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা) দাখিল, ৪টি কেন্দ্রে (রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাজী হেদায়েত হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোয়ালন্দ উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি উপজেলার বালিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজ, পাংশা উপজেলার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) এসএসসি ভোকেশনাল এবং ১টি কেন্দ্রে (পাংশা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে অন্যান্য বারের মতো এবারও প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্যরা ৩০মিনিট অতিরিক্ত সময়সহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারী বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হবে। এছাড়াও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে নজরদারি থাকবে মনিটরিং কমিটির।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও সকালের পরীক্ষা ১০ থেকে ১টা এবং বিকেলের পরীক্ষা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সকল পরীক্ষার্থীকে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও পরীক্ষার ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রশ্নে পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতিত (ছবি তোলা যায় না এমন ফোন) অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।