Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যকে জনগণের সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে—এমপি কাজী কেরামত আলী

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের আয়োজনে ‘পুলিশকে সহায়তা করুন, পুলিশের সেবা গ্রহণ করুন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল ২৭শে জানুয়ারী বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে র‌্যালীটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এরপর সেখানে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী এবং জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম, রাজবাড়ী সদর খানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, ডিবি’র ওসি মোঃ কামাল হোসেন ভুঁইয়া, ডিআইও-২ ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্য়ায়ের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী তার বক্তব্যে বলেন, পুলিশ অতীতের মতো বর্তমানেও সাধারণ মানুষের পাশে আছে-ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা পুলিশকে নিজের জীবন বাজী রেখে সাধারণ মানুষের জান-মাল রক্ষায় কাজ করতে দেখি। দেশের জঙ্গীবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকা দেশ-বিদেশে প্রশংসনীয় হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক ও দুনীতির বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন সেই ক্ষেত্রেও আমাদের পুলিশ বাহিনী দৃঢ় ভূমিকা রাখবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, সেই বিষয়টি খেয়াল রেখে পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যকে পেশাদারী মনোভাব ও জনগণের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
এই সেবা সপ্তাহে পুলিশ সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করাসহ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে কাজ করবেন বলে আমরা আশা করি। বক্তব্যের শেষে তিনি পুলিশ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনসহ সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী বলেন, রাজবাড়ী দেশের অন্য যে কোন জায়গার তুলনায় সব সময়ই ভালো আছে। আমি আশা করব সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভবিষ্যতেও রাজবাড়ীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়া যেহেতু মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ তাই আমরা সকলে সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব। তিনি পুলিশ সপ্তাহের সফলতা কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, আসলে জেলা পুলিশ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেসীর কাজ এক ও অভিন্ন। আমরা সব সময় একসাথে কাজ করি। এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা পুলিশের এক সপ্তাহব্যাপী ব্যাপক কর্মযজ্ঞ আছে। আপনারা সেই কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে আপনাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে আমি আশা করি।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা বলেন, শুধু পুলিশ সেবা সপ্তাহ বা পুলিশের যে কোন দিবসে নয়-পুলিশ যে সবসময় জনগণের বন্ধু সেই বিষয়টি প্রমাণ করাসহ জনবান্ধব পুলিশী ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সেই কার্যক্রমে আপনারা আমাদের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করবেন। আপনাদের সব সময় মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে, যার অংশীদার আমরা সকলে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আজকের অঙ্গীকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে একপিস ইয়াবা থাকবে ততক্ষণ আমাদের এই যুদ্ধ শেষ হবে না। আমরা অনেক আগে থেকেই জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি, যা এখনও চলমান। রাজবাড়ী জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা একসাথে কাজ করি। সংসদ সদস্যগণ ও জেলা প্রশাসকসহ সকলেই আমাদের কাজে সবসময় সাথে থেকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত উৎসাহের। আমি আশা করি ভবিষ্যতেও তারা আমাদের সবসময় উৎসাহ দিয়ে যাবেন এবং জেলার মানুষের জন্য ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবেন।
উল্লেখ্য যে, সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীতে ২৭শে জানুয়ারী থেকে ২রা ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত পুলিশ সেবা সপ্তাহ পালন করা হবে। এ সময় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হবে।