॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সার্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬দফা দাবীতে বাংলাদেশ ইবতেদায়ী শিক্ষক সমিতি ফাউন্ডেশন রাজবাড়ী জেলা কমিটি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। গত ১৫ই ফেব্র“য়ারী দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্মারক লিপিটি জমা দেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ।
এ সময় বাংলাদেশ ইবতেদায়ী শিক্ষক সমিতি ফাউন্ডেশন রাজবাড়ী জেলা কমিটির সভাপতি কাজী মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আমিরুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক মাওলানা মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ইবতেদায়ী শিক্ষক সমিতি ফাউন্ডেশন রাজবাড়ী জেলা কমিটির সভাপতি কাজী মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে ১৯৭৩ সালে ও ২০১৩ সালে দুই বার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহকে জাতীয়করণ করা হয়েছে এবং কর্মরত শিক্ষকমন্ডলীর চাকুরী সরকারীকরণ করা হয়েছে। সর্বশেষে ২০১৩ সালে ২৬হাজার এর উর্দ্ধে রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি ১৬হাজার ২১৩টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসার একটিও জাতীয় করণ করা হয়নি। দেশের ১ম শ্রেণী থেকে স্মাতক শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করা হলেও স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসার কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করা হয়নি। সে কারণে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী সারাদেশ থেকে ৬দাবী করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। ৬দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে-(১) ২০১৭সালের জানুয়ারী মাস থেকে সকল সতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদরাসাকে জাতীয়করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকুরী সরকারী করণ করতে হবে। (২) অনতিবিলম্বে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় সিনিয়র বেতন স্কেল প্রদান করতে হবে। (৩) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত ১০/০৩/২০১৬ইং তারিখের প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০% শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদানের ঘোষণা কার্যকর করে ২০১৫সালের জুলাই মাস থেকে সতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করতে হবে। (৪) অনতিবিলম্বে সতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদরাসা সমূহকে পৃথকীকরণ করে আলাদা ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে। (৫) অনতিবিলম্বে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। (৬) অনতিবিলম্বে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ইনডেক্স নাম্বারে অধিকার প্রদান করে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে নিয়োগের সুযোগ প্রদান করতে হবে।