॥স্টাফ রিপোর্টার॥ গত ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী জেলার ২টি সংসদীয় আসনের নির্বাচিত দুই এমপি ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী ৬জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।
তাদের মধ্যে একমাত্র রাজবাড়ী-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের ‘কাছাকাছি’ ভোট পেলেও অন্যরা ধারের কাছেও যেতে পারেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোন প্রার্থী যদি প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে রাজবাড়ী-১ ও রাজবাড়ী-২ আসনের নির্বাচিত ২জন প্রার্থী ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য কোন প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় প্রত্যেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এবার রাজবাড়ী-১ আসনে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী(নৌকা) ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অপর ২জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম(ধানের শীষ) প্রতীকে ৩৩হাজার এবং ইসলামী আন্দোলনের জাহাঙ্গীর হোসেন খান ওরফে জাহিদ হাসান(হাতপাখা) প্রতীকে ৩ হাজার ৮৩৪ ভোট পান। প্রদত্ত বৈধ ভোটের(২,৭৫,৭৪৮) আট ভাগের এক ভাগ (৩৪,৪৬৮) না পাওয়ায় দু’জনের জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়।
অপরদিকে রাজবাড়ী-২ আসনে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ জিল্লুল হাকিম(নৌকা) প্রতীকে ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অপর ৪জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির নাসিরুল হক সাবু(ধানের শীষ) ৫হাজার ৪৭৫ ভোট, জাতীয় পার্টির এডঃ এবিএম নুরুল ইসলাম(লাঙ্গল) ১হাজার ৮৩৮ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের নূর মোহাম্মদ মিয়া(হাতপাখা) ১ হাজার ৭৪৯ ভোট এবং সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের নাজমুল হাসান(ছড়ি) ১হাজার ৫ ভোট পান। প্রদত্ত বৈধ ভোটের (৪,০৮,০৩৬) আট ভাগের এক ভাগ (৫১,০০৪) না পাওয়ায় তাদের ৪জনেরই জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় ইসি’র নির্ধারিত ২০হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়েছিল। সেই হিসেবে রাজবাড়ী-১ আসনের ২জন এবং রাজবাড়ী-২ আসনের ৪জনসহ জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ৬জন প্রার্থীর জামানতের মোট ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়েছে।