Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

আজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রাজবাড়ীর দুইটি আসনে লড়ছেন ৮জন প্রার্থী

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আজ ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যে নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
এবার রাজবাড়ীর ২টি সংসদীয় আসনে লড়ছেন ৮জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে রাজবাড়ী-১ আসনে ৩জন এবং রাজবাড়ী-২ আসনে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে দটি আসনেই আওয়ামী লীগের ২জন প্রার্থীই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।
রাজবাড়ী-১(সদর, গোয়ালন্দ উপজেলা) আসনের প্রার্থীরা হলেন ঃ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মহাজোট সমর্থিত বর্তমান সংসদ সদস্য ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী(নৌকা), বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আলী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম(ধানের শীষ) এবং ইসলামী আন্দোলনের জাহাঙ্গীর আলম খান ওরফে জাহিদ হাসান(হাতপাখা)।
অপরদিকে রাজবাড়ী-২ (পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি উপজেলা) আসনের প্রার্থীরা হলেন ঃ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম(নৌকা), বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু(ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও প্রাক্তন এমএনএ এডঃ এবিএম নূরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নূর মোহাম্মদ(হাতপাখা) এবং সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের নাজমুল হাসান(ছড়ি)।
নির্বাচনী পুনঃ তফসিলের পর থেকে ২টি আসনেই প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশে মূলতঃ আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীই সক্রিয় ছিলেন। প্রার্থীরা নিজে এবং তাদের পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা অসংখ্য পথসভা, জনসভা, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, গানে গানে মাইকিং, ব্যাপক পোস্টারিং, লিফলেট বিলির মাধ্যমে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়েছে। তাদের পক্ষে মহাজোটভূক্ত জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের দুই অংশের নেতাকর্র্মীরাও সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালিয়েছে।
অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থী আলী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম মাঠে নামার চেষ্টা করলেও হামলা-মামলা, বাঁধা দেয়ার ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ উত্থাপন করে ঘরবন্দী হয়ে যান। এছাড়া দলের মনোনয়ন বঞ্চিত খালেক-আসলাম গ্রুপ তার পক্ষে নির্বাচনের মাঠে নামেনি বা ভোট চায়নি। আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম কয়েকবার সাংবাদিকদের ডেকে সম্মেলনে অভিযোগ করা, সামান্য কিছু পোস্টার লাগানো কয়েকদিন মাইকিং করার মধ্যেই তার প্রচারণা সীমাবদ্ধ ছিল। এছাড়াও গোয়ালন্দ ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বিএনপির বহু নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করে নৌকার প্রচারণায় অংশ নেয়ায় এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেতাসহ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন চেয়ারম্যান কারাবন্দী থাকায় তার নির্বাচনী কার্যক্রমে ব্যাপক ভাটা পড়ে বলে জানা যায়।
অপরদিকে রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু মাঠেই নামেননি। তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে কোন অভিযোগও করেননি। এছাড়া দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হারুন ও আব্দুর রাজ্জাক খানের গ্রুপ পক্ষে নির্বাচনী মাঠে আসেনি। পাশে পাননি তার গ্রুপের নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরও। প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তিনি থাকলেও নানা দৈন্যদশার কারণে নির্বাচনী মাঠে তিনি ছিলেন অসহায়।
রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এডঃ এবিএম নূরুল ইসলামও নিজ দলের নেতাকর্মীদের পাশে পাননি। তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে।
তাই রাজবাড়ীর ২টি আসনেই জয়ের পাল্লা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দিকে অনেক হেলে রয়েছে।