Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী-২ আসনে এগিয়ে নৌকা॥কর্মী সংকটে বিএনপি’র প্রার্থী সাবু

॥পাংশা প্রতিনিধি॥ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনে নির্বাচনী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় উজ্জীবিত হয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকরা।
অপরদিকে কর্মী সংকটে প্রচার-প্রচারণায় দুর্দিন যাচ্ছে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি নাসিরুল হক সাবুর। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে এমনই মন্তব্য করেছেন তারা।
গতকাল ২০শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম নিজে নির্বাচনী ৩টি উপজেলায় সমন্বয় করে প্রতিদিন ৭/৮টি কর্মী সভা করছেন। সেসব কর্মী সভায় লোকজনের ব্যাপক সমাগমের ফলে কর্মী সভা জনসভায় পরিণত হচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ স্ব-স্ব ইউনিয়নে উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বছরের প্রথম দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, রাস্তাঘাট, ব্রিজ কার্লভাট নির্মাণ, আইন-শৃঙ্খলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন, পাংশা কলেজ, পাংশা জর্জ উচ্চ বিদ্যালয়, কালুখালী কলেজ, কালুখালীর রতনদিয়া রজনীকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি কলেজ ও বালিয়াকান্দি গার্লস হাইস্কুল সরকারীকরণের তথ্য উল্লেখ করে মোঃ জিল্লুল হাকিমের নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করায় জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া জেগেছে। এলাকায় উন্নয়ন এবং জিল্লুল হাকিমের রাজনৈতিক বলিষ্ঠতার ফলে নৌকার পক্ষে এবারে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০০১ সালে চার দলীয় জোটের প্রার্থী নাসিরুল হক সাবু এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব¡ কায়েম হয়। পাংশা থানার সাবেক ওসি মোঃ মিজানুর রহমান সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। বিএনপির হাতুরী বাহিনী এবং সন্ত্রী চরমপন্থীদের অত্যাচার-নির্যাতনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এলাকায় তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করে নাই। কোথায়ও বিদ্যুতের ১টি খুঁটিও গাড়তে পারেন নাই। এখন জনগণের সামনে তারা কি বলে ভোট চাবে। তা ছাড়া বিএনপির সাবু-হারুন গ্রুপের মধ্যে ঐক্য গড়ে ওঠেনি। এ জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা দূরে সরে আছে। নির্বাচনী কাজে ডেকে কাউকেই কাছে পাচ্ছেন না নাসিরুল হক সাবু। কর্মী সংকটের কারণে নির্বাচনী এলাকার হাট-বাজার ও দৃশ্যমান কোথায়ও ধানের শীষের প্রতীকের পোস্টার টানাতে এবং কর্মী সভা বা পথসভা পারছেন না তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামী লীগের ঘারে দায় চাপিয়ে নির্বাচন বর্জনের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী নাসিরুল হক সাবু। গত ১৯শে ডিসেম্বর নিজ বাড়ীতে কথিত সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের প্রতি মিথ্যাচার করেছেন নাসিরুল হক সাবু। এসবের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন।