Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ব্যবসায়ী ও পুলিশসহ ১৫জন আহত॥রাজবাড়ী বাজারে দুর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপির নির্বাচনী সভা পন্ড॥ভাংচুর

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী বাজারে চেয়ার ভাংচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নির্বাচনী সভা পন্ড করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় লোকজন আতংকিত হয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি করলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়লে রাজবাড়ী বাজারের সকল দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল ১১ই ডিসেম্বর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজবাড়ী বাজারের খলিফাপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তের ইটপাটকেলের আঘাতে ১জন ব্যবসায়ী ও পুলিশের ১জন দারোগাসহ ১৫জন বিএনপির কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
বিএনপির প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম জানান, রাজবাড়ী বাজারের খলিফা পট্টিতে নির্বাচনী সভার জন্য আমি গত ৯ই ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করি। জেলা প্রশাসক গত ১০ই ডিসেম্বর আমাদের সভার করার জন্য অনুমতি দেন। সেই অনমুতির প্রেক্ষিতে আজকে খলিফা পট্টিতে সভা করতে গেছি। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালায় আছে যে আমি প্রার্থী হিসেবে তাদের অবহিত করবো এবং পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা বিধান করবেন। কিন্তু আজ বিকেল সোয়া ৩টার দিকে পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৫০/৬০জন ছেলে পেলে আমাদের সভাস্থলে চেয়ারটেয়ার যা ছিল তা ভাংচুর করে। তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোঠা নিয়ে চেয়ার ভাংচুর করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এছাড়াও তারা আমাদের মহিলাদেরকেও মারপিট করে। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে আমাদের ১০/১২জন নেতাকর্মী জখম হয়। এ খবর পেয়ে আমি ৪টার দিকে সেখানে যাই। আমি যাবার পরেও তারা ৩বার হামলা করে। এখানে পুুলিশ কোনই ভূমিকা পালন করেনি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের কোনই পরিবেশ নাই। আমরা প্রতিকার পাচ্ছি না।
হামলার বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম,পিপিএম জানান, বিএনপি এখানে মঞ্চ করে সভা করবে সেটা আমাদের জানা ছিল না। যখন তারা সভার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন কিছু উচ্ছঙ্খৃল লোকজন এসে হামলা চালায় বলে আমরা জানতে পারি। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জাকারিয়া মাসুদ রাজীব বিএনপির সভায় ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির দলীয় কোন্দল ও নির্বাচনের মনোনয়নের বিরোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এ হামলার মাধ্যমে। অথচ তারা এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য জন্য দায় ছাত্রলীগের উপর চাপাচ্ছে যা দুঃখ জনক। তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ বা যুবলীগের কেউ এ হামলার সাথে কোনভাবেই জড়িত নয়।