Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বালিয়াকান্দিতে লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে

॥বালিয়াকানিন্দ প্রতিনিধি॥ শীতের আগমনের সাথে সাথে শীত নিবারণের জন্য বেড়ে গেছে লেপ-তোষকের চাহিদা। আর সেই চাহিদা মেটানোর জন্য দিন-রাত লেপ-তোষক তৈরীর কাজ করে চলছে কারিগররা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের ব্যস্ততা। শীতের সাথে লেপ-তোষকের ব্যবসায়ী ও কারিগরদের এ মেলবন্ধন আবহমানকালের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি বাজারের কারিগরদের সবাই লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বাজারের পুরাতন ব্যবসায়ী মা বেডিং স্টোরের মালিক ফরহাদ হোসেন বলেন, শীত আসলেই লেপ-তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। কারিগরদের ব্যাস্ত সময় কাটাতে হয়। প্রতিটি তোষক তৈরী করতে গড়ে ৩/৪ ঘন্টা সময় লাগে। রাত জেগে কাজ করলে দিনে ৫/৬টি করে তোষক তৈরী করা যায়। প্রতিটি কারিগর শীতের মৌসুমে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো আয় করে থাকে। শিমুল তুলার লেপ তৈরী করতে খরচ বেশী পড়ে। গার্মেন্টেসর ঝুট কাপড়ের প্রতি কেজি তুলা ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। সেই তুলনায় শিমুল তুলার দাম অনেক বেশী। তুলা ২০-১০০ টাকা এবং কভার ২০০-৪০০ টাকার পাশাপাশি আকার ভেদে একটা লেপ ৫০০-২০০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা একটু কম হচ্ছে। কারণ এক শ্রেণীর হকার গ্রামাঞ্চলে রিক্সা-ভ্যানযোগে এগুলো বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে ফেরী করে বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। সে কারণে গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা বালিয়াকান্দি বাজারের দোকানগুলোতে কম আসছে। হালিম নামের একজন হকার জানায়, সে লেপ-তোষক, কম্বল-বালিশ ইত্যাদি পাইকারী দরে ক্রয় করে ব্যাটারী চালিত ভ্যানযোগে গ্রামে গ্রামে নিয়ে বিক্রি করছে।