॥শিহাবুর রহমান॥ সরকারী কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। উচ্চ আদালতের ৪ সপ্তাহের জামিন শেষে গতকাল ৭ নভেম্বর সকালে এসব নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল হক তাদের কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরা হলেন- সোবাহান মোল্লা, মুন্নাফ হোসেন ফেলু ওরফে মুন্নাফ খান, দেলোয়ার মন্ডল, শরীফ বেপারী, সুলতান মোল্লা ওরফে সুলতান শেখ, এরশাদ মন্ডল, ওয়াহেদ খান, তাজেল সরদার, নওশাদ মৃধা, আতিয়ার মন্ডল, রেজাউল করিম, জাবির খান, ইয়াকুব শেখ, বাবু মৃধা ওরফে মাসুদ মৃধা, সাইদ মোল্লা, বাবু শেখ, মুরাদ আলী রেজা, হারুন কাজী, তপন চন্দ্র ঘোষ, শফিকুল ইসলাম, ফারুক মোল্লা, ফেরদৌস শেখ, নবু শেখ ওরফে রবিউল শেখ, পিরু কাজী ওরফে মহর কাজী, রাজ্জাক মোল্লা, শাহিদুল ইসলাম ও ইসমাইল মোল্লা।
আদালত সুত্রে জানা যায়, এ মামলায় ১ থেকে ১১ নং আসামী গত ১০ অক্টোবর ক্রিমিনাল কেস নং-৪৬৭৩৪/২০১৮ এবং ১২থেকে ২৭নং আসামী একই তারিখে ক্রিমিনাল মিস কেস নং-৪৬৭৩৩/২০১৮ মূলে হাইকোর্ট হতে ৪ সপ্তাহের জন্য জামিন নিয়েছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদকাল ছিল গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল ৭ নভেম্বর সকালে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উল্লেখিত ২৭ নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। জামিন শুনানি শেষে বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল হক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এর আগে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কে গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার মোড় নামক স্থানে বেআইনী জনতাবদ্ধে সরকারী সম্পত্তি বিপন্ন করে অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক পদার্থ মজুদ ও ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে সরকারী কাজে বাধাদানের অভিযোগে এসআই সুকুমার বিশ^াস ৪৭জনের নাম উল্লেখ করে গোয়ালন্দ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ১৫/২০জনকে আসামী করা হয়। গোয়ালন্দ থানার মামলা নং-২৩, তাং-১৯/৯/২০১৮ইং, জিআর-৩০০/১৮। ধারাঃ ১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩ দঃবিঃ তৎসহ বিস্ফোরক আইনের ৩/৪/৫ ধারা।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই মামলায় কারাগারে গেল রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দের বিএনপির ৫৪জন নেতাকর্মী।