Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীর দুইটি সংসদীয় আসনেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন প্রত্যাশী গণফোরাম নেতা এডঃ দেবেন্দ্র রায়

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার ২টি সংসদীয় আসনেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা গণফোরামের সভাপতি এডঃ দেবেন্দ্রনাথ রায়। ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
১৯৯০ সালে গণফোরামের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রাজবাড়ী জেলা শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা অবস্থায় ২০১৩ সালে দলের সভাপতি এডঃ চিত্ত রঞ্জন গুহ মৃত্যুবরণ করলে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও তিনি জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম উপদেষ্টা, জেলা নমঃশুদ্র কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, সুহৃদ বাংলাদেশ হিন্দু কমিটির জেলা শাখার সভাপতি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর বিশেষ পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এডঃ দেবেন্দ্রনাথ রায়ের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২১শে মে বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গল গ্রামে। পিতার নাম মৃত রামকৃষ্ণ রায় এবং মায়ের নাম মৃত স্বরসতী রায়। ১৯৭৫ সালে জঙ্গল সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৭৭ সালে বালিয়াকান্দি কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৮০ সালে মাগুরার হোসেন শহীদ মোবারকডাঙ্গী কলেজ থেকে বি.এ এবং ১৯৮৫ সালে রঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাসের পর ১৯৮৯ সালে রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। ছেলে গৌরাঙ্গ রায় দেবদাস ঢাকার ব্যারিস্টার রাবেয়া ভুঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আইন বিষয়ে সম্মান চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র এবং মেয়ে দীপিকা রায় গীতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। স্ত্রী সবিতা রাণী রায় গৃহিনী। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী শহরের ভবাণীপুর মাস্টারপাড়ায় নিজ বাড়ীতে বসবাস করেন। তবে বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের নিজ এলাকার সাথে রয়েছে নিবিড় যোগাযোগ। ব্যক্তিগতভাবে তিনি তার সামর্থ্য অনুযায়ী গরীব-দুঃখী মানুষকে সবসময় সহায়তা করাসহ আইনী সেবা দিয়ে থাকেন।
নির্বাচনী ভাবনার বিষয়ে এডঃ দেবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, রাজবাড়ীর ২টি সংসদীয় আসনেই গণফোরাম তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছে মনোনয়ন চাইবো। যে আসনে মনোনয়ন দেবে সেই আসনেই নির্বাচন করবো। নির্বাচনে বিজয়ী হলে সবসময় জনগণের পাশে থেকে তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করবো। মাদক, ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন এবং রাজবাড়ী শহরকে দেশের মধ্যে মডেল শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। গরীব-দুঃখী মানুষকে আইনগত সহায়তার ব্যবস্থা এবং কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবো।