Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী-২ আসনে উন্নয়নের রূপকার এমপি জিল্লুল হাকিম

॥মোক্তার হোসেন॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজবাড়ী-২ আসনের(পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলায়) দলকে সু-সংগঠিত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম।
দলীয় নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করা, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড জনসাধারণের সামনে তুলে ধরাসহ তৃণমূলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদারকরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন এমপি জিল্লুল হাকিম। এলাকায় বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ-কার্লভাট প্রভৃতি উন্নয়ন, হতদরিদ্র মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং দলকে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে চলেছেন তিনি।
অপরদিকে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিম আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারকরণে দিকনির্দেশনা প্রদানের ফলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার নেতৃত্বে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সু-সংগঠিত হয়েছে।
এদিকে তৃণমুলে সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদারকরণ এবং এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদানের জন্য জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বলেছেন, রাজবাড়ী-২ আসনে উন্নয়নের রূপকার জিল্লুল হাকিম এমপি। এলাকায় তার বিকল্প নেই।
কলিমহর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল জলিল মন্ডল জানান, রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এলাকার উন্নয়নের রূপকার। কলিমহর ইউনিয়নে সাজুরিয়া নতুন রাস্তা নির্মাণ, রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাগবিষ্ণুপুর-ফলিমারা প্রাগপুর টু সাজুরিয়া হোসেনডাঙ্গা রাস্তা মেরামত, সাজুরিয়া ব্রিজ মেরামত, এইচবিবি রাস্তা নির্মাণ, বিভিন্ন মাটির রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত, ইউনিয়নের সকল পাকা রাস্তা মেরামত, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ, বিভিন্ন হাট-বাজার উন্নয়ন, জমি আছে ঘর নেই হতদরিদ্র পরিবারের ঘর নির্মাণ, তত্ত্বিপুর মোড় হতে হাটবনগ্রাম ভায়া কলিমহর বাজার পাকা রাস্তা মেরামত, সিরাজপুর হাওর পুনঃখনন, বিভিন্ন খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র তৈরী, ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রাচীর নির্মানসহ ভবন মেরামত, গোপালপুর বাজার হতে কলিমহর বাজার পর্যন্ত রাস্তা মেরামত, কলিমহর বড় খাল ও হাটবনগ্রাম খাল পুনঃখনন, বিভিন্ন হাট-বাজারে গভীর নলকূপ স্থাপন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাকরণ, বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, মাদরাসা, গোরস্থান, রাস্তার মোড়ে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, ছোট-ছোট রাস্তা সংস্কার ও নতুন নির্মাণ, হোসেনডাঙ্গা ও কলিমহর পোস্ট অফিস নির্মাণ, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, বিভিন্ন স্থানে বক্সকার্লভাট নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদের ভবন মেরামত, মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট কলেজ স্থাপন, ১০ শয্যা বিশিষ্ট মাতৃ ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ, ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ, এলজিএসপির ১৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ৯টি চলমানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এমপি জিল্লুল হাকিমের প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়া শতভাগ বাড়ীতে পল্লী বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যানগণও এমপি জিল্লুল হাকিমের প্রচেষ্টায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের তথ্য জানান।
কসবামাজাইল ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান পিল্টু জোয়ার্দ্দার বলেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি জিল্লুল হাকিম একজন সফল রাজনীতিবিদ। মুক্তিযুদ্ধকালীন গোয়ালন্দ মহকুমা কমান্ডার। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব। কথা আর কাজের মধ্যে মিল থাকায় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে তার জনপ্রিয়তা সর্বজন বিদিত। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় পাংশা কলেজ ও পাংশা জর্জ হাইস্কুল সরকারী হয়েছে। সাধারণ মানুষ এর সুফল ভোগ করছে। পাংশার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নাদুরিয়াঘাটে গড়াই ব্রিজের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা পূরণ হতে চলেছে। গড়াই নদীতে ছয়শত মিটার দৈর্ঘের ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তিনি আরো বলেন, এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ ব্রিজটি নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। ব্রিজটি নির্মিত হলে অত্র এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মুহঃ আক্তার জিন নুরাইন জানান, রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে ৮৪০ কিলোমিটার পল্লী বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ৯৮ হাজার পরিবার পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ সুবিধা পেয়েছেন। বর্তমানে ৯০ ভাগ মানুষ পল্লী বিদ্যুতর সুবিধা ভোগ করছেন। খুব শিঘ্রই শতভাগ বিদ্যুতের সুবিধা পাবে এলাকার মানুষ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম।
এরআগে ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোঃ নাসিরুল হক সাবুকে(ধানের শীষ) ৫৯ হাজার ১৬২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোঃ জিল্লুল হাকিম। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (১৪ দলীয় মহাজোট সমর্থিত) মোঃ জিল্লুল হাকিম ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৬১ ভোট পান। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির নাসিরুল হক সাবু পান ১লাখ ৩২হাজার ৭৯৯ভোট।
১৯৯৬ সালের ১২ই জুন অনুষ্ঠিত ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জিল্লুল হাকিম নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।