॥রফিকুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা চত্বরের সামনে জাতীয় মহাসড়কে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃক স্থাপিত যানবাহনের ওজন মাপার ডিজিটাল রোড ভেহিক্যাল ওয়েব্রীজ স্কেলে কর্মরত কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতি সরব হয়ে উঠেছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা থেকে ঢাকাগামী মালভর্তি ট্রাক ফেরীতে উঠে নদী পারাপারের পূর্বে এই মেশিন দিয়ে যানবাহনের ওজন পরিমাপ করা হয়। সরকারের নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত মাল বোঝাইয়ের জন্য টন প্রতি ১২০ টাকা হারে আদায় করা হয়। প্রতি ২৪ঘন্টায় ৭/৮শত ট্রাক ডিজিটাল রোড ভেহিক্যাল ওয়েব্রীজ স্কেলে ওজন পরিমাপ করে স্লীপ গ্রহণ করে। প্রতিটি ট্রাক থেকে ২০ টাকা হারে ঘুষ নেয়া হয়। বড় ট্রাককে ছোট ট্রাক দেখিয়ে স্লীপ নেওয়ার জন্য ৫০ টাকা আদায় করা হয়।
ঢাকা-মেট্টো-ড-১৪-১৮৩৬ নং ট্রাকের চালক টুটুল জানান, ঘুষের টাকা না দিলে ছোট ট্রাককে বড় ট্রাক দেখিয়ে স্লীপ দেওয়া হয়। ফলে দৌলতদিয়ার বিআইডব্লিউটিসির কাউন্টারে ফেরীর টিকেট নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ৪শত টাকা বেশি দিতে হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৫শে জানুয়ারীতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি ডিজিটাল রোড ভেহিক্যাল ওয়েব্রীজ স্কেলটি উদ্বোধন করেন। এতে বিআইডব্লিউটিসি’র প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত আয় হয়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের কারণে ঘন ঘন ওয়ে মেশিন স্কেলটি অচল হয়ে পড়ে। ঢাকা থেকে বিআইডব্লিউটিসি’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এ পর্যন্ত ৩/৪বার তদন্ত করলেও বড় ধরণের শাস্তি না হওয়ায় অনিয়ম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, ডিজিটাল রোড ভেহিক্যাল ওয়েব্রীজ স্কেলে কোন অনিয়ম ও দুনীতি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।