Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচন বাতিলে জজ আদালতে মামলা

॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গত ২৮শে জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচন বাতিলের জন্য বিজ্ঞ পাংশা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বি মৌরাট ইউপির বাগদুলী গ্রামের আজগর আলী মিয়া বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় মৌরাট ইউপির মৌরাট গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাদশা, পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইমদাদুর রহমান তালুকদারসহ ৮জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের জন্য ১৯/১২/২০১৬ তারিখে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১১/০১/২০১৭ তারিখ হতে ১৩/০১/২০১৭ তারিখ বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা, ১৬/০১/২০১৭ তারিখ সকাল ১১টায় মনোনয়নপত্র বাছাই ও বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ, ১৮/০১/২০১৭ বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও ২৮/০১/২০১৭ নির্বাচনের দিন ধার্য হয়। বাদী আজগর আলী মিয়াসহ ১০জন প্রতিদ্বন্দ্বি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১০জন প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে ৮জন পুরুষ ও ২জন মহিলা। এর মধ্যে ৪জন পুরুষ ও ২জন মহিলা নির্বাচিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থীগনের কোনো প্রতীক বরাদ্দ থাকে না। শুধুমাত্র প্রার্থীগণের নাম ব্যালট কাগজে লিপিবদ্ধ থাকে। ভোটারগণ ভোট প্রদানের জন্য প্রার্থীগণের নামের উপর ক্রস চিহ্নিত সিল মেরে ভোট দেন। ২৮শে জানুয়ারী যথারীতি নির্বাচন হয়। কিন্তু ২নং বিবাদী প্রিজাইডিং অফিসার ইমদাদুর রহমান তালুকদার বে-আইনী ভাবে কতক প্রার্থীগণের সাথে যোগসাজসে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ভোট প্রয়োগের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পুরুষ অভিভাবক সদস্যপদে ভোট গণনার সময় দেখা যায় ক্রস চিহ্নিত সিল ছাড়া কতক কতক ব্যালটে টিপ দিয়ে ভোট প্রদান করা হয়েছে। যাহা নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় উক্ত ব্যালট বাতিল যোগ্য হওয়া সত্বেও ব্যালটগুলি বাতিল না করে ব্যালটগুলি বৈধ ভোট হিসেবে গণনা করেন। প্রার্থীগণের পোলিং এজেন্টগণ বিভিন্ন ভাবে প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট আপত্তি উত্থাপন করলেও তিনি আপত্তি অগ্রাহ্য করেন। পুরুষ অভিভাবক সদস্যগণের ভোট গণনাকালে দেখা যায় মোঃ শওকত আলী মন্ডল ৩৩৮ ভোট পেয়ে প্রথম হন, শওকত আলী সরদার ৩১৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন, কেছমত আলী শেখ ৩১৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন, বাদী আজগর আলী মিয়া ২৯৮ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন, রফিকুল ইসলাম বাদশা ২৯৫ ভোট পেয়ে পঞ্চম হন। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার রফিকুল ইসলাম বাদশার নামীয় ৩টি টিপ প্রদানকৃত বাতিল যোগ্য ভোট বাতিল না করে ভোটের সংখ্য ২৯৮ হিসাবে গন্য করেন। বাদী আজগর আলী মিয়ার ও ১নং বিবাদী রফিকুল ইসলাম বাদশার ভোটের সংখ্যা ২৯৮ ভোট হিসাবে গন্য করে বেআইনী ভাবে লটারীর কথা বলে রফিকুল ইসলাম বাদশাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। প্রকৃত পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট হলে লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত ঘোষণার কোনো আইনগত পদ্ধতি বা বিধি বিধান না থাকলেও লটারীতে নির্বাচিত মর্মে ঘোষণা দেন। এ কারণে অভিভাবক সদস্যগণের প্রাপ্ত ভোট পুনরায় গণনা করে ১নং বিবাদী রফিকুল ইসলাম বাদশার অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হওয়া অবৈধ বে-আইনী থাকা গন্যে উহা বাতিল হওয়া একান্ত আবশ্যক বলে মামলায় দাবী করা হয়। মোকদ্দনা নং-০৯/২০১৭।