Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

জঙ্গল ইউপিতে স্কুল ভবন নির্মাণ কাজে চাঁদা দাবীর অভিযোগে ৫জন গ্রেফতার

॥রঘুনন্দন সিকদার॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের অলংকারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে ৫জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ঃ অলংকারপুর গ্রামের রউফ মোল্লার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মামুন মোল্লা(৩০) এবং তার সহযোগী মৃত শাহজাহান আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে রিপন জোয়ার্দ্দার(২০), আমির আলী মন্ডলের ছেলে নাছির হোসেন(২২), রবিউল মন্ডলের ছেলে ওলিয়ার মন্ডল(২২) ও খলিল সিকদারের ছেলে আবু শামা সিকদার(৩৫)।
এ ঘটনায় ঠিকাদার লুৎফর মোল্লা বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন(বালিয়াকান্দি থানার মামলা নং-১, তাং-০১/১০/২০১৮ইং, ধারা ঃ ৩৮৫/৩৮৭/৩৪ পেনাল কোড)। মামলায় গ্রেফতারকৃত মামুন মোল্লাকে প্রধান আসামী করাসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও অন্যান্য সুত্রে প্রকাশ, গত ১লা অক্টোবর দুপুরে অলংকারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় মামুন ও তার সহযোগীরা ঠিকাদারের ম্যানেজার সোহেলের নিকট ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। ম্যানেজার সোহেল বিষয়টি ঠিকাদার লুৎফর মোল্লাকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন মামুন ও তার সহযোগিরা তাকে দাবীকৃত চাঁদা পরিশোধ করতে বলে। ঠিকাদার লুৎফর টাকা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানালে মামুন ও তার সহযোগিরা হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থান ত্যাগ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ঠিকাদার লুৎফর মোল্লার লোকজনসহ স্থানীয়রা একত্রিত হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মামুন দাবীকৃত টাকা নেয়ার জন্য আবার সেখানে গেলে তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি থানার এস.আই দীপন কুমার মন্ডল, অংকুর কুমার ভট্টাচার্য্য ও নূর মোহাম্মদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে মামুনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ অলংকারপুরে অভিযান চালিয়ে মামুনের ৪জন সহযোগিকে গ্রেফতার করে।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি হাসিনা বেগম জানান, ঠিকাদার লুৎফর মোল্লার মামলায় মামুনসহ ৫জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল ২রা অক্টোবর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সন্ত্রাসী মামুন দীর্ঘ দিন ধরে জঙ্গল ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সে গ্রেফতার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।