Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে রাজবাড়ীতে র‌্যালী-আলোচনা

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষে ‘তথ্যের অধিকার, সুশাসনের হাতিয়ার ; তথ্যই শক্তি, দুর্নীতি থেকে মুক্তি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও টিআইবির সহযোগিতায় গতকাল ৩০শে সেপ্টেম্বর সকালে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর নেতৃত্বে কালেক্টরেটের আম্রকানন চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
র‌্যালীতে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোহাম্মদ আশেক হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আলমগীর হুছাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, সনাক ও টিআইবির সদস্যগণসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
র‌্যালী শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোহাম্মদ আশেক হাসান, সনাকের সভাপতি প্রফেসর শংকর চন্দ্র সিনহা এবং এনজিও রাসের নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান লাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা টিআইবির কো-অর্ডিনেটর আবু তাহের।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য বর্তমান সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে। আর সেই বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রেখেই বর্তমানে প্রত্যেকটি সরকারী, বেসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোন তথ্য প্রদান করা যাবে আর কোন তথ্য প্রদান করা যাবে না তথ্য অধিকার আইনে সেই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ রয়েছে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তথ্য দিতে বাধ্য। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে তথ্য প্রদানে গড়িমসি করেন। আমি আশা করবো আইন অনুযায়ী যেসব তথ্য প্রদান করা যাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সেই সকল চাহিদামতো তথ্য প্রদান করবেন। এ জন্য তথ্য অধিকার আইন যাতে ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয় সেই লক্ষ্যে তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারী বিভাগের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তাগণকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যার দায়িত্ব আমি ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিককে প্রদান করেছি। আমি মনে করি অন্য জেলার তুলনায় রাজবাড়ী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ বিভাগের কর্মকর্তাগণ ইতিমধ্যে তথ্য কমিশনে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। যার মাধ্যমে তথ্য কমিশনকে দেওয়া আমাদের কমিটমেন্ট অনুযায়ী সকল সরকারী অফিসের শতভাগ তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা সম্ভব হবে। এই তথ্যের অবাধ বিচরণের ফলে সকল সরকারী দপ্তরে যে কোন কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি তার বক্তব্যে সংবাদকর্মীদের গঠনমূলক লেখনীর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার আহ্বান জানান।