Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চন্দনীতে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত

॥শিহাবুর রহমান॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের আফড়া বাজারে গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে আওয়ামীলীগের এক নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চন্দনী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আয়োজনে এ জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কারিগরী ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ কাজী কেরামত আলী এমপি।
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, অ্যাডঃ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রমজান আলী খান, অগ্রণী ব্যাংক সিবিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম মনি ও রাজবাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ মোঃ আশরাফুল হাসান আশা বক্তব্য দেন।
চন্দনী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ওসমান ঢালীর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে যুবলীগ নেতা আল মামুন আরজু, খানগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষকলীগের নেতা আশরাফুল আলম আক্কাছ, চন্দনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মতিন আরজেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কারিগরী ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ কাজী কেরামত আলী এমপি বলেন, শেখ হাসিনা নারীদের বেশি পছন্দ করেন। নারীরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেজন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। নারীদের বিধবা ভাতা, বয়স্কভাতাসহ নানা রকমভাতা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির সময় চন্দনীতে কয় মাইল রাস্তা পাকা হয়েছিল। আর আওয়ামীলীগের আমলে কয় মাইল রাস্তা পাকা রয়েছে তা আপনারা বিবেচনা করবেন। আওয়ামীলীগ প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় রয়েছে। আপনারা বলতে পারবেন এই ইউনিয়নে কারোর বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে কিনা। কিন্তু বিএনপির আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, এই ইউনিয়নের স্কুল মাদরাসায় নতুন ভবন করে দিয়েছি। মসজিদ মন্দিরে উন্নয়ন করে দিয়েছি। আফড়া বাজারও উন্নয়ন করা হবে।এ ইউনিয়নে ৯০ঁ% বিদ্যুত আছে। নির্বাচনের আগেই শতভাগ বিদ্যুত চলে আসবে। তাই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতিকে আবারো ভোট দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী এই ইউনিয়নের সাবেক এক চেয়ারম্যানের নাম উচ্চারণ করে বলেন, সে আমাদের নামে আজেবাজে কথা বলে। তোমার কাছে অস্ত্র আছে আমরা সেটা জানি। তুমি মনে করছো অস্ত্রধারী চরমপন্থীদের এনে আমাদের ভয় দেখাবে। কিন্তু আওয়ামীলীগ তাতে ভয় পায় না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমাকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। মানুষকে ধোকা দেয়ার জন্য রাজনীতি করিনা। কেউ যদি মারামারি করতে চায় তাকে দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে। তবে আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। মনে রাখবেন আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমাদের জিততে হবে।