॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনে পুনরায় ভোট গণনার দাবীসহ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আজগর আলী মিয়া লাটারীতে আপত্তি তুলেছেন। গত শনিবার বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে শওকত আলী মন্ডল ৩৩৮ ভোট, শওকত আলী সরদার ৩১৯ ভোট, কেছমত আলী শেখ ৩১৪ ভোট, রফিকুল ইসলাম বাদশা ২৯৮ ভোট ও রোজিনা বেগম ৩১৩ ভোট পেয়ে অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
নির্বাচনে আজগর আলী মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বাদশা উভয়েই ২৯৮ ভোট পান। এদের মধ্যে আজগর আলী মিয়া শওকত আলী সরদারের প্যানেলের অপরদিকে রফিকুল ইসলাম বাদশা কেছমত আলী শেখের প্যানেলের। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইমদাদুর রহমান তালুকদার লটারীতে রফিকুল ইসলাম বাদশাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এতে আজগর আলী মিয়া আপত্তি তুলেছেন।
এ ব্যাপারে পুনরায় ভোট গণনার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দরখাস্ত করবেন বলে জানান আজগর আলী মিয়া। প্যানেলে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী সরদারও পুনরায় ভোট গণনা দাবীসহ ও লাটারীতে আপত্তি তুলেছেন।
জানাযায়, নির্বাচনে অপর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রাথীদের মধ্যে ইয়াছিন আলী শেখ ২৯৪ ভোট, মাসুদ রানা ২৯১ ভোট, জলিল মুন্সী ২৮৩ ভোট ও রোকেয়া বেগম ২৯১ ভোট পান। আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী সরদার ও কেছমত আলী শেখের নেতৃত্বে দু’টি প্যানেলে ১০জন প্রার্থী অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইমদাদুর রহমান তালুকদার। তিনি জানান, নির্বাচনে ৮৭৫জন ভোটারের মধ্যে ৬৪৮টি ভোট কাষ্টিং হয়।
বাগদুলী বিদ্যালয় এর কমিটির নির্বাচনে পুনঃ ভোট গণনার দাবী॥ লটারীতে আপত্তি
