Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীর আলীপুরে শ্বাশুড়ী’কে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় আরো ১ব্যক্তি গ্রেপ্তার॥রিমান্ডের আবেদন

॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বারবাকপুরে হাজেরা বেগম (৪৮)কে গলাকেটে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে গত ৭ই সেপ্টেম্বর দুপুরে সোহেল মিয়া(৩৩) নামে আরো ১ব্যক্তিকে ডিবি’র সদস্যরা গ্রেফতার করেছে।
সে আলীপুর ইউনিয়নের কোমরপাড়া গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে। গতকাল ৮ই সেপ্টেম্বর ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে গ্রেফতারকৃত সোহেল মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে এ হত্যায় মামলায় ইকরাম ওরফে একেন(৩২) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওসি মোঃ কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানাযায়, নিহতের পুত্রবধূ স্বপ্না বেগমের স্বামী দীর্ঘদিন বিদেশে রয়েছে। সেই সুবাদে গ্রেফতারকৃত সোহেল মিয়ার সাথে তার মোবাইলে বিভিন্ন সময়সহ গভীর রাতে দীর্ঘক্ষণ কথা হতো।
এছাড়াও সে ওই বাড়ীতে অবাধে যাতায়াত করতো। ঘটনার দিন সোহেলকে ওই বাড়ীর আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। সে অন্যান্যদের সহযোগিতায় এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে বহু সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যায়। তবে আরো নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল ৮ই সেপ্টেম্বর ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতের মাধ্যমে সোহেল মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত হাজেরা বেগমের দুই ছেলে প্রবাসে থাকে। গত ১৬ই আগস্ট দিনগত রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে হাজেরা বেগম, পুত্রবধু স্বপ্না বেগম ও তার শিশু সন্তান ছানী আলাদা ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুত্রবধু স্বপ্নার চিৎকারে হাজেরা বেগমের স্বামী তমিজ উদ্দিনের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি ওই ঘরে গিয়ে দেখেন খাটের ওপর তার স্ত্রী’র গলাকাটা মরদেহ পড়েছে রয়েছে এবং ছেলের বউ স্বপ্নার দুই হাতে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কান্নাকাটি করছে।
এ ঘটনায় গত ১৭ই আগস্ট নিহতের স্বামী তমিজ উদ্দিন শেখ বাদী হয়ে রাজবাড়ী থানায় অজ্ঞাত আসামী করে ৩২৪/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ধারায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।