॥স্টাফ রিপোর্টার॥ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী গতকাল ৫ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর রাজবাড়ী শহরের উপকণ্ঠে পর্যটন কেন্দ্র খ্যাত গোদার বাজার এলাকার পদ্মা নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেন।
এরআগে বুধবার সকালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো’র) ফরিদপুর পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী একেএম ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী রাজবাড়ী শহরের উপকণ্ঠে গোদার বাজার ঘাট এলাকার পদ্মা নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হেকিম এবং রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর রাতে গোদার বাজার এলাকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫৫ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক নির্মিত পর্যটন স্পটের অবকাশ কেন্দ্র বন্ধন সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ১২০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে মূল বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকাসহ ব্যাপক ভাঙ্গনের আতংক সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে গত ২৬শে আগস্ট গোদার বাজারের এনজিএল ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায় একইভাবে নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। যার ভাঙ্গন রোধে
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী একেএম ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত ছয় বছর টিকে ছিল নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর বিকালে হঠাৎ ভাঙ্গন শুরু হলে রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে জানান। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধে বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছে। নদীতে গত বছর বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ড্রেজিং করা হয়েছে, সে কারণে এই ভাঙ্গন হতে পারে। এখন জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে এবং শুকনো মৌসুমে স্থায়ী কাজ করা হবে।
গোদার বাজার ঘাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নজরুল ইসলাম মন্টু বলেন, ভাঙ্গনের কারণ হিসেবে আমাদের মনে হয়-ব্লক সেটিংয়ের নিচে যে প্রটেকশন ছিল তা সরে যাওয়ার কারণে এই সিসি ব্লকগুলো নদীতে ধসে গেছে। তাছাড়া নদীটি যখন খনন করা হয় তখন পাড়ের কাছাকাছি খনন করা হয়েছিল।
রাজবাড়ী শহরের পর্যটন কেন্দ্র খ্যাত গোদার বাজারে নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন ঠেকাতে উদ্যোগ
