Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

যশাইতে প্রবাসীর স্ত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ॥কোর্টে মামলা

॥শিহাবুর রহমান॥ পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের উদয়পুর পশ্চিমপাড়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে অপহরণের পর আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ৩রা সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওই নারী। গত ২৪শে আগস্ট এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ওই প্রবাসীর স্ত্রী গত ২৪শে আগস্ট দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে গুধিবাড়ী ১নং জামে মসজিদের কাছে এলে একই গ্রামের উজ্জল খা(২৪) ও রানা খা (১৮) তাদের অন্যান্য সহযোগিদের সহযোগিতায় মাইক্রোবাস যোগে তাকে অপহরণ করে। এ সময় সে চিৎকার দিতে গেলে তারা তার মুখ চেপে ধরে হাত ও পা বেঁধে ফেলে। এরপর তারা তাকে পাংশা শহরের নারায়নপুরে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে উজ্জল তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সত্যজিৎপুর কৃষি খামারে নিয়ে যায়। সেখানেও উজ্জল তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তার মুখে চেনতানাশক রুমাল ধরে অজ্ঞান করে পাংশা বাজারের আবাসিক হোটেল লতিফ ভবনের ৩য় তলায় নিয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পরে নিজেকে সে ওই আবাসিক হোটেলের বিছানায় দেখতে পায়। এরপর উজ্জল ও তার সহযোগিরা তাকে মারপিট করে। এতে সে দুর্বল হয়ে পড়লে উজ্জল তাকে ধর্ষণ করে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তারা ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালায়। পরে তাকে ঘটনার বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য হত্যার হুমকি দিয়ে মাইক্রোবাসযোগে মাগুরাডাঙ্গী রোডের একটি ফাঁকা স্থানে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনার পর সে বাবুপাড়া ইউনিয়নের ভট্টাচার্য্য গ্রামে তার বাবার বাড়ীতে গিয়ে উঠে এবং ঘটনার বিষয়ে সে তার বাবা মাকে জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে তার বাবা মা তাকে গালিগালাজ করে। বাবা মার কাছ থেকে অপমান ও মান সম্মানের ভয়ে গত ২৬শে আগস্ট সে বিষপান করলে পরিবারের লোকজন তাকে পাংশা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে বেঁচে যায়। এ ঘটনার পর বিষয়টি সে তার স্বামীকে জানিয়ে গত ৩রা সেপ্টেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করে।