Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় সন্দেহ ভাজন ১জন গ্রেফতার

॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে তরুন ব্যবসায়ী আকমল হোসেন (৩৮)কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরিফুল ইসলাম শান্ত(২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
সে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের কাইমদ্দিন প্রামানিক পাড়ার আব্দুল মালেক খানের ছেলে। গতকাল শুক্রবার তাকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার এস.আই সমনাথ বসু জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে দুর্বৃত্তদের কোপে ব্যবসায়ী আকমল হোসেন জখম হওয়ার ঘটনায় বুধবার রাতে তার ছোট ভাই সালাউদ্দিন শেখ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর এ ন্যাক্কার জনক হামলার ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করে। অথচ দুর্বৃত্তরা তার কাছে থাকা দুটি মুঠোফোন, নগদ কিছু টাকা নিলেও মোটর সাইকেল ফেলে চলে যায়। ছিনতাইকারী হলে মোটর সাইকেলটিও নিতে পারতো। কিন্তু তা না নিয়ে তাকে মুঠোফোন, কাছে থাকা টাকা পয়সা বের করার পরও তাকে এলোপাতারী কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামী করে থানায় তিনি একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানা পুলিশ নিজ এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আরিফুল ইসলাম শান্তকে আটক করে। গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে তাকে রাজবাড়ীর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটককৃত শান্তর বাবা মালেক খান জানান, এ ঘটনার সাথে শান্ত কোন ভাবেই জড়িত নয়। এমনকি মামলার বাদীও তার নামে কোন অভিযোগ করেনি। অনেক আগের কোন মামলায় তার নামে ওয়ারেন্ট থাকলে পুলিশ আটক করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উজানচর নতুন পাড়া এলাকায় অবস্থিত ‘রূপালী পোল্ট্রি হ্যচারীজ’ থেকে বৈদ্যুতিক সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে এক কর্মচারী ফোন করে। ফোনে সমস্যার কথা শুনে তিনি ওই রাতেই বাড়ি থেকে নিজ মোটর সাইকেল যোগে পোল্ট্রি খামারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। সাড়ে তিনটার দিকে তিনি শহরের মাল্লাপট্রি সেতুর উপর ওঠামাত্র ৪/৫জনের দেশীয় অস্ত্রধারী যুবক তার গতিরোধ করে। এ সময় কাছে কি আছে সব বের করে দিতে বলে। দুইটি মুঠোফোন ও পকেটে থাকা নগত তিন হাজার টাকা বের করে দিলেও দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতারী কোপাতে থাকে। মোটর সাইকেল ফেলে তিনি চিৎকার করতে করতে স্থানীয় কয়েক বাড়ির লোকজনদের ডাকতে থাকে। এ সময় স্থানীয় মজিবর রহমান নামের এক ব্যক্তি তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং পরিবারকে খবর দেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার ভোরেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। আকমল হোসেন গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র শেখ মোঃ নিজামের আপন চাচাতো ভাই।