Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্রের শব্দে পরীক্ষার্থীদের অধ্যায়নে ব্যাঘাত

॥এম.এইচ আক্কাছ॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিবাহ, সুন্নতে খাৎনা, পিকনিক, জন্মবার্ষিকী, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অপরিকল্পিতভাবে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাউন্ড সিস্টেম, বাদ্যযন্ত্র ও মাইক বাজানো হয়। এই যন্ত্রের শব্দে পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, জেডিসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটে চলেছে।
এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীনসহ এলাকার বিভিন্ন বাড়ির রোগীরাও ভুক্তভোগী হচ্ছেন। কারও বাড়ীতে কোন অনুষ্ঠান হলেই সপ্তাহব্যাপী দিন-রাত অপরিকল্পিতভাবে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সম্পন্ন সাউন্ড সিস্টেম বাজানো হয়। আর বাদ্যের তালে তালে এক শ্রেণীর বখাটে যুবকরা মাদক সেবন করে অশালীন নাচ-গান করে। এদের দাওয়াত না করলেও দলবদ্ধভাবে এসে অশালীন নাচ-গান শুরু করে দেয়। অনুষ্ঠান পন্ড হওয়ার ভয়ে বাড়ীর লোকজন তাদের কিছু বলেন না। উঠতি বয়সী বখাটে যুবকরা কারো কোন নিষেধের তোয়াক্কা করে না। উচ্চ ক্ষমতার বিশাল আকৃতির আধুনিক সাউন্ড সিস্টেমের লাউড স্পিকারের শব্দে আশপাশের এলাকার বাড়ী-ঘরের টিনে ঝনঝন শব্দ হয়। হার্টের রোগীর হার্টবিট বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সারারাত বাদ্য বাজার কারণে বিদ্যালয় পড়–য়াদের লেখাপড়ার ব্যাঘাততো ঘটেই। এছাড়াও আশ-পাশের কেউ ঘুমাতে পারে না। উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা করা হয় না। তাদের এ বাদ্যযন্ত্র কখনও কখনও নামাজের সময় পর্যন্ত থামে না।
এ ব্যাপারে চৌধুরী মাহবুব হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক লিয়াকত হোসেন বলেন, এভাবে যুব সমাজের মধ্যে অশালীন নাচ-গান চলতে থাকলে শিক্ষার হার কমে যাবে।
উপজেলার ছোট ভাকলা, উজানচর, দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ইউপিসহ পৌরসভার বিভিন্ন বাড়ীতে এ ধরণের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। বিভিন্ন এলাকার পরিক্ষার্থীদের অভিভাবক সাজ্জাদুল আলম সামসু, ইয়ার হোসেন, জহির হোসেন, অজয় বিশ^াসসহ একাধিক অভিভাবক ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এ ধরণের অনৈতিক কান্ড বন্ধ করতে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসা উচিত।