Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পাংশায় প্রায় ৩কোটি টাকার আমানত নিয়ে এহসান সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা লাপাত্তা

॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা শহরে এহসান সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের কার্যক্রম বন্ধ করে কর্মকর্তারা লাপাত্তা হয়েছে। ফলে সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট সহ¯্রাধিক সদস্য বিপাকে পড়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ২নং আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মিসপি নং-২৬৮/২০১৬, ধারাঃ ৪১৮/৪০৬ দঃ বিঃ। মামলার বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রাজবাড়ী জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকে আদালত আদেশ প্রদান করেছে।
মামলার বাদী কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউপির গৌরাঙ্গপুর গ্রামের মোঃ আবু তাহের মিয়া অভিযোগে জানান, আসামী ১। মোঃ আরিফ হোসেন মোল্লা ২। মফিজ মোল্লা পিতা মৃত আত্তাব মোল্লা, সাং-বিলধামু ৩। বিল্লাল হোসাইন, পিতা-আব্দুল হামিদ শেখ, সাং-বাকশাডাঙ্গী ইউপি নারুয়া, থানা-বালিয়াকান্দি, জেলা-রাজবাড়ী।
মামলায় বলা হয়, আসামীরা পাংশাতে একটি ঋণদান সমবায় সমিতি গঠন করে তথায় ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালনা করে কারবার করে যার নাম এহসান সোসাইটি। বাদী ও স্বাক্ষীগণ আসামীদের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন পেশার মানুষের নিকট থেকে সঞ্চয় হিসেবে টাকা নিয়ে আসামীদের এহসান সোসাইটি নামক সমিতিতে জমা দেন। ১নং আসামী উক্ত সমিতির ম্যানেজার, ৩নং আসামী সমন্বয়কারী ও ২নং আসামী তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রায় ৩কোটি টাকা গ্রহণ করেন। সমিতি বেশ কিছুদিন চলার পর আসামীগণ হঠাৎ গত ৩০/০৩/২০১৬ তারিখে পাংশা শহরে অবস্থিত এহসান সোসাইটি বর্তমানে এহসান সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করলে বাদী ও স্বাক্ষীগণ বিষয়টি জানতে পেরে তরিঘরি অফিসে গিয়ে দেখতে পান উক্ত প্রতিষ্ঠানের দরজায় তালা দিয়ে আসামীরা নিজ নিজ ঠিকানায় অবস্থান করছেন। বাদী ও স্বাক্ষীগণ একত্রিত হয়ে গ্রাহকদের সঞ্চয়ী পাশবহি হিসাব করে দেখেন, আসামীরা প্রায় ৭০লক্ষ টাকা আত্মসাত করে লাপাত্তা হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু আসামীরা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা অস্বীকার করলে বিজ্ঞ আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ঘটনার পর থেকে বাদী ও স্বাক্ষীরাসহ সমিতির গ্রাহকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।