॥পাংশা প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউপির দীঘলহাট উত্তরপাড়া গ্রামে এখন আতঙ্কের পাশাপাশি অসহায় অবস্থা বিরাজ করছে।
দিনে দুপুরে ১২ পরিবারের ২০টি বসত ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে মাঝে এ অবস্থা বিরাজ করছে। ভয়ে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। গতকাল ২৫শে জানুয়ারী বিকেলে সরেজমিনে দীঘলহাট উত্তরপাড়া গ্রামে গেলে এমন হালচিত্র দেখা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল লতিফ মন্ডলের ছেলে বাবুল হোসেন জানান, গ্রাম্য দলাদলীর জের ধরে গত ২২শে জানুয়ারী সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের শতাধিক লোকজন দেশীয় অন্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ীর ২টি ঘর, ফটিক মন্ডলের ১টি, ইসাহাক মন্ডলের ২টি, কালাম মন্ডলের ১টি, তাইজাল মন্ডলের ২টি, মকছেদ মন্ডলের ২টি, সাইফুল মন্ডলের ২টি, শরিফ মন্ডলের ২টি, লাল্টু মন্ডলের ১টি, কিয়ামুদ্দিন মন্ডলের ৩টি, রব মন্ডলের ১টি ও মুন্নাফ জোয়াদ্দারের বাড়ীর ১টি টিনের বসত ঘর কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটতরাজ করে।
এ সময় বাড়ির লোকজন ভয়ে দিক-বিদিক দৌড়ে পালাতে থাকে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাবুল মন্ডল আরো জানান, গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জজ আলী বিশ্বাসের পক্ষে নির্বাচনী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার কারণেই প্রতিপক্ষের লোকজন এবারে দিনে-দুপুরে বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে।
তিনি আরো জানান, প্রায় ৮/৯ মাস আগে সন্ত্রাসীরা রাতের বেলা তাদের নিজ বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার পিতা আব্দুল লতিফ মন্ডলকে মারধর করে আহত করে। ওই ঘটনায় শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন সমবেত হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এবারের বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় তারা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউপির আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান দাবী করেন, নটাভাঙ্গা মাঠে দুই গ্রামের তরুনদের মধ্যে ক্রিকেট খেলায় জয়-পরাজয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কয়েকটি বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করে তার লোকজনের উপর দায় চাপায় ও মামলা করে। তিনি অনাকাঙ্খিত ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবী জানান।