Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীর বানীবহে গৃহবধু লিমা হত্যা মামলায় আরো ১জন গ্রেপ্তার॥আদালতে মিঠু মোল্লার ৭দিনের রিমান্ড আবেদন

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের আটদাপুনিয়ায় দুই সন্তানের জননী গৃহবধু আদুরী আক্তার লিমা(২৫) হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে গতকাল ১১ই আগস্ট মিঠু মোল্লা(৩৩) নামে আরো ১জনকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মিঠু মোল্লা ওই গ্রামের মৃত ছাত্তার মোল্লার ছেলে। এ নিয়ে এ মামলায় সন্দেহজনকভাবে ৩জনকে গ্রেফতার করা হলো।
সুত্র জানায়, আদুরী আক্তার লিমার স্বামী মিজানুর রহমান ও মিঠুর মধ্যে সীমানা পিলার বিক্রিকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন রাতে মিঠুসহ তার অজ্ঞাত সহযোগিরা মিজানুরের ঘরে ঢুকে সীমানা পিলারের সন্ধান করে না পেয়ে তার স্ত্রী লিমাকে গলা কেটে হত্যা করে। অথবা ভিন্ন কোন কারণে লিমাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এ হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ তদন্ত করছে।
লিমা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই বদিয়ার রহমান জানান, গতকাল ১১ই আগস্ট বিকেলে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতের মাধ্যমে মিঠুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে নিহতের আপন দেবর সিরাজুল ইসলাম ওরফে মিরাজ(২৬) ও ফুফাতো দেবর আমিন খান (৩৪)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১০ই আগস্ট আদালতে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সুত্রে প্রকাশ, নিহত আদুরী আক্তার লিমার স্বামী মিজানুর রহমান কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় রড মিস্ত্রির কাজ করেন। বাড়ীতে লিমা এবং দুই ছেলে আবির(৪) ও কবির(২) বসবাস করতো। গত ৭ই আগস্ট রাত ১০টা দিকে লিমা ও তার দুই ছেলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১২টার দিকে লিমার শ^শুর করিম মৃধা প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হয়ে নাতির কান্নার শব্দ শুনে আদুরীর ঘরের সামনে যান। ঘরের দরজা খোলা দেখে তিনি ভিতরে ঢুকে লাইট জ্বালিয়ে দেখেন লিমা গলাকাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে। আবির তার মায়ের বুকের উপর শুয়ে কান্না করছে ও কবির ঘুমিয়ে আছে। এরপর লিমার শ^শুর করিম মৃধা বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ছেলে মিজানুরকে জানান। মিজানুরের ধারণা অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ওই দিন রাত ১০টা থেকে রাত ১২টার যেকোন সময় তার স্ত্রী লিমাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ৮ই আগস্ট নিহতের স্বামী রড মিস্ত্রি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে রাজবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাজবাড়ী থানার মামলা নং-৭, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোর্ড।