Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ঈদুল আযহা’র প্রস্তুতি সভা॥রাজবাড়ী শহরের রেলওয়ে ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ৯ই আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় আসন্ন ঈদুল আযহা উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম,পিপিএম, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক এরশাদ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ আশেক হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছাদেকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজী শফিউল আজম শুভ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, সদর থানার ওসি মোঃ তারিক কামাল, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও রাজবাড়ী জেলাবাসী যাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্যে দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু ঈদুল আযহায় পশু কোরবানীর একটি আনুষ্ঠানিকতা থাকে সে জন্য সকলের মতামতের ভিত্তিতে এবারের ঈদের প্রধান জামাত শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানের কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদের ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। আর অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় জেলার যেসব জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো স্থানীয় কমিটির নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান জামাতের প্যান্ডেল ও তোরণসহ প্রধান সড়কের আলোকসজ্জা পৌরসভার পক্ষ থেকে করা হবে। ঈদের দিন জেলা কারাগার, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। যেহেতু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, সে কারণে পদ্মার পানি নামতে না পারায় অধিক বৃষ্টিপাত হলে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সার্বিক প্রস্তুতিসহ পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা থাকবে। যদি বন্যা হয়, হবে সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ঘাট ব্যবস্থাপনা ও ঈদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত সকল সরকারী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ছুটি না দেওয়া হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। ঈদের সময় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে যে চাল দেয়া হয় এবার তা ২০ কেজি করে দেয়া হবে। গত ঈদে এই চাল বিতরণের ক্ষেত্রে কিছু অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়েছিল, এবার যাতে ওই ধরণের কোন কিছু না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে নির্দেশ দেয়া হলো। কোন অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারী দেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ইদানীং ব্যবসায়ী-দোকানীরা ও ব্যাংকে ২টাকার কয়েন নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে সকলকে অবশ্যই ২টাকার কয়েন লেনদেন করতে হবে।
তিনি বলেন এবার রাজবাড়ী পৌরসভা এলাকায় কোরবানীর জন্য ৩৭টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে যারা ব্যক্তিগতভাবে কোরবানী দিবেন তারা পৌরসভার মনিটরিং সেলে জানালে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এসে বর্জ্য অপসারণ করবে। এছাড়াও সভা থেকে জেলার হজ্বযাত্রীদের জন্য দোয়া করা হয়।