Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে জাল সনদ ও অবৈধ অর্থ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে এইচএসসি পাশের জাল সনদ দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে চাকুরী গ্রহণ এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্থ-সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক।
গতকাল ৭ই আগস্ট বিকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানীতে সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানীকালে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ার এ কথা বলেন।
জানাগেছে, সোহেল মন্ডল নামের একজন অভিযোগকারী সিভিল সার্জন অফিসের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে চাকুরী গ্রহণ, বিধি বহির্ভূতভাবে পদোন্নতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগ করলে গণশুনানীতে উপস্থিত দুদকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ার বলেন, যেহেতু এই অভিযোগের সাথে সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও দুদকের নীতিমালা অনুযায়ী তদন্তযোগ্য সেহেতু কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।
উল্লেখ্য, সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিপূর্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মচারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সঞ্জয় কুমার সরকার ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে পরিসংখ্যানবিদ পদে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করে। এর ২বছরের মধ্যে সে ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী থেকে ১ম শ্রেণীর পদে পদোন্নতি পেয়ে রাজবাড়ী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে। এরপরই তার জাল এইচএসসি পাশের সনদ দিয়ে চাকরী নেয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। সেখানে যোগদানের পর থেকেই সে ক্ষমতার অপব্যবহার ও সীমাহীন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। সিভিল সার্জনের সাথে বিশেষ সম্পর্কের কারণে অফিস চলাকালীন সময়ে সঞ্জয় কুমার সরকার সরকার অধিকাংশ সময় তার সঙ্গেই থাকে এবং কোন ফাইল কাকে দেয়া হবে, কাকে কোথায় বদলী করতে হবে ইত্যাদি ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে। চাকুরীতে যোগদানের মাত্র ৪বছরের মাথায় সে দক্ষিণ ভবাণীপুরে ৩৭লক্ষ টাকা দিয়ে স্ত্রীর নামে একটি ৪তলা বাড়ী ক্রয় করে, যেখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ব্যবসা পরিচালিত হয়। সম্প্রতি ১০ লক্ষাধিক টাকার সঞ্চয় পত্র এবং এফডিআর করেছে। এছাড়াও সে দুর্নীতির মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ খরচ করে তার ছোট ভাই সুদীপ কুমার সরকারকে সিভিল সার্জন অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকুরী নিয়ে দেয়।