ঢাকা সিএমএইচে ১ম বারের মত ল্যাপরোস্কপিক পদ্ধতিতে ২জন রোগীর সফল কিডনী সংযোজন অপারেশন করা হয়েছে।
গত ২৯ ও ৩০শে জুলাই ভারতের ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার (আইকেডিআরসি)-এর কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক প্রাঞ্জল রোহন লাল মোদি’র তত্তাবধানে এ প্রতিস্থাপন করা হয়। এতে অংশ নেয় ভারতীয় ৭সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ও ঢাকা সিএমএইচের ইউরোলজিস্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শহীদুল ইসলাম এবং ঢাকার সিএমএইচ ও এএফআইপির কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্টের সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। বর্তমানে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এ চিকিৎসাসেবা পেলেও ভবিষ্যতে অসামরিক রোগীদের জন্যও এ সেবা উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আপামর জনসাধারণের দোরগোরায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের অংশ হিসাবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের দূরদর্শিতা ও সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকা সিএমএইচে এই কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, অন্তিম পর্যায়ের কিডনী রোগ (এন্ড স্টেজ কিডনী ডিজিজ) একটি জটিল দুরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনী প্রতিস্থাপন (কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট) করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার এই ধরনের রোগী যুক্ত হচ্ছে। এ সকল রোগীর ৮০ শতাংশেরও বেশী যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ৮টি সেন্টারে কিডনী প্রতিস্থাপনের কাজ করা হয় -আইএসপিআর।