Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীতে ভুয়া প্রকল্পে বানীবহ বাজারের যাত্রী ছাউনী নির্মাণের টাকা আত্মসাত॥ নজরদিন

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম কর্তৃক ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বানীবহ বাজারে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের নামে ১লক্ষ ২৮হাজার ২০৫টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১০/১১/২০১৬ইং তারিখে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর উপস্থিতিতে রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সভায় বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা বাচ্চু অভিযোগ করেন যে, হাট-বাজার উন্নয়ন খাতের অর্থ দ্বারা বানীবহ বাজারে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের নামে বিল নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোন যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করা হয়নি। তিনি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
তার অভিযোগে সভায় সদর উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহবায়ক এবং সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে সদস্য করে ৩সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ওই তদন্ত কমিটির কোন প্রতিবেদন অদ্যাবধি আলোর মুখ দেখেনি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত ১৬/২/২০১৫ইং তারিখে অনুষ্ঠিত বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের এক সভায় তৎকালীন চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের প্রস্তাবে হাট-বাজার উন্নয়ন খাতের অর্থ দ্বারা বানীবহ বাজারে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের জন্য ১লক্ষ ২৮হাজার ২০৫ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমকে সভাপতি, রশিদ মিয়াকে সেক্রেটারী এবং নুরুল হক মিয়া, আলম মিয়া ও আবুল কালামকে সদস্য করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি গঠনের পর চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম প্রথমে উপজেলা পরিষদের হাট বাজার উন্নয়ন খাত থেকে প্রথমে ৬৪ হাজার ১০৩ টাকা অগ্রীম এবং পরবর্তীতে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে চুড়ান্ত ভুয়া বিল-ভাউচার দাখিলের মধ্যে ০২/০৭/২০১৫ইং তারিখে অবশিষ্ট ৫৭ হাজার ৫০টাকা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। কিন্তু আদৌ কোন যাত্রী ছাউনী নির্মিত হয়নি, পুরো টাকাই আত্মসাত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, অনুযায়ী নিয়ম মাফিক বাজারের ২০০ ফুট পশ্চিমে যাত্রী ছাউনীটি করা হয়েছে। জায়গাটি এলজিইডির রাস্তার পাশেই। তবে জায়গাটি তার নিজের বলে তিনি স্বীকার করেন এবং প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করেনি বলে দাবী করেন।