Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও পাংশায় সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে কর্মব্যস্ত জেলা প্রশাসক

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সাপ্তাহিক সরকারী ছুটির দিনেও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী গতকাল ১৩ই জুলাই শুক্রবার বিকালে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী(প্রকল্প) মোঃ হুমায়ুন কবীর এবং হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদ্বয়সহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার(কাবিটা ও কাবিখা) এবং অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক প্রথমে হাবাসপুর ইউনিয়নের অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় বাস্তবায়িত টেকিপাড়া মোড় হতে লওলামারী বিল পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। ৬ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮৪ জন শ্রমিক দিয়ে প্রায় ১০ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যরে রাস্তাটির মাটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপর জেলা প্রশাসক কাচারীপাড়া মানিক কাজীর জোলার খাল পুনঃ খনন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ প্রকল্পটিতে ১০০ জন শ্রমিক দিয়ে ৮ লক্ষ টাকায় মাটি কাটার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এই প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি চরঝিকরী পদ্মা নদীর বেড়ীবাঁধ পাকা রাস্তা হতে খানপাড়া পাকা রাস্তা পর্যন্ত ৫৩৫ মিটার রাস্তা পুনঃসংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার(কাবিখা) কর্মসূচীর বিশেষ বরাদ্দের আওতায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচীর বরাদ্দের আওতায় বাস্তবায়িত চরঝিকরী বাজার হতে গোরস্থান পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১১.৫৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়। প্রকল্পটি পরিদর্শন শেষে তিনি অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় চরআফড়ার আনছারের বাড়ী হতে রশিদ শেখের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৪লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ৬২ জন শ্রমিক এ প্রকল্পটির কাজ করেছে।
হাবাসপুর ইউনিয়নের প্রকল্পসমূহ পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ২টি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ পরিদর্শন করেন। প্রথমে তিনি তারাপুর পাকা রাস্তা হতে বাগমারা পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এ প্রকল্পটি বাস্দবায়নের জন্য গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচীর বিশেষ বরাদ্দের আওতায় ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। এরপর তিনি একই কর্মসূচীর আওতায় বাস্তবায়িত পাটিকাবাড়ী পাকা রাস্তা হতে কৃষ্ণপুর পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নেও ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসক প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।