Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কেকেএসের আয়োজনে বর্ষামঙ্গল উৎসব-গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পিকেএসএফের সহযোগিতায় এনজিও কেকেএসের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচীর আয়োজনে গতকাল ৩০শে জুন বিকালে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বর্ষামঙ্গল উৎসব ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, পাংশা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর এটিএম রফিক উদ্দিন, একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মনসুর-উল-করিম এবং কাজী হেদায়েত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মীর মাহফুজা খাতুন মলি বক্তব্য রাখেন।
কেকেএসের নির্বাহী পরিচালক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেকেএসের সহকারী নির্বাহী পরিচালক ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন। আরো বক্তব্য রাখেন কেকেএসের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচীর সংগঠক ফয়জুল হক কল্লোল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেকেএসের উপদেষ্টা সদস্য ও ডাঃ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা শামীমা আক্তার মুনমুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, কেকেএসের আয়োজনে এই বর্ষামঙ্গল উৎসব দেখে আমি মুদ্ধ হয়েছি। আর এই অনুষ্ঠানটির মান বৃদ্ধি হয়েছে গুণী মানুষদের সম্মাননার মাধ্যমে। যাদেরকে সম্মাননা দেওয়া হলো তারা প্রত্যেকেই গুণীজন। আমাদের উচিত এই গুণীজনদের প্রতি সম্মান দেখানো। এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী জেলার ৪টি উপজেলার ১২জন গুণীজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন ঃ গোয়ালন্দের নাট্যকার ও অভিনেতা বিশ্বনাথ বিশ্বাস, ক্রীড়াবিদ ও শিক্ষানুরাগী সৈয়দ উদ্দিন মিঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক মোঃ আমিনুল ইসলাম শফি, বালিয়াকান্দির শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক বাসন্তী স্যান্যাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.এম আব্দুল মতিন, ক্রীড়া সংগঠক ও সমাজসেবক অজিত কুমার পালিক(নিমাই), পাংশার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক মোঃ আব্দুল মতিন মিয়া, গীতিকার ও সুরকার মোঃ নুরুল ইসলাম, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মোঃ আবুল কাশেম, কালুখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক মোঃ আকামত আলী মন্ডল, ক্রীড়া সংগঠক ও কৃতি ফুটবলার মোঃ লিয়াকত আলী এবং প্রখ্যাত বাউল শিল্পী ও সাধক অসীম বিশ্বাস।
তাদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়াসহ মানপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। দোলনচাঁপা সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পীদের গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।